সংক্ষিপ্ত

  • ক্রমে হায়দরাবাদের গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে
  • পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর দুই ধর্ষক ফের ফিরে এসেছিল ঘটনাস্থলে
  • ফিরেছিল নির্যাতিতার স্কুটারেই
  • অপরাধের প্রমাণ লোপাটই ছিল উদ্দেশ্য

 

যত সময় যাচ্ছে ততই হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে তদন্তকারীদের। একটু একটু করে মুখ খুলছে পশু চিকিৎসকের উপর নিদারুণ অত্যাচার চালানো পিশাচ-রা। শনিবার জানা গিয়েছিল, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। এদিন জানা গেল ঘটনার পর দুই ধর্ষক নির্যাতিতার স্কুটার নিয়েই ফের ফিরে এসেছিল ঘটনা স্থলে। দগ্ধ শরীরটা চেনা যাচ্ছে কি যাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখতে।

তেলেঙ্গানার এক প্রথমসারির সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্তকারীদের সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার রাতে ২টো থেকে ২.৩০-র মধ্যে শাদনগরের চাতানপাল্লিতে একটি কালভার্টের তলায় তারা নির্যাতিতার নিথর দেহে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তারপর মহম্মদ আরিফ ও চিন্নাকেশভালু তাদের ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আর অপর দুই ধর্ষক শিবা ও নবীন সওয়ার হয় নির্যাতিতার স্কুটারেই, যার চাকা এই অভিযুক্ত চারজনই পাংচার করে ধর্ষণের জঘন্য ছক কষেছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, কিছুক্ষণ পরই অবশ্য শিবা ও নবীন ফের ফিরে আসে ঘটনাস্থলে। নির্যাতিতা পশু চিকিৎসকের দেহ পুরোপুরি পুড়ে ঝামা হয়ে গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে। তারা চেয়েছিল দেহটি দেখে যাতে কোনওভাবেই তার আসল পরিচয় জানতে পারা না যায়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল ধর্ষকরা।

সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার বিসি সজ্জানগর জানিয়েছেন, নির্যাতিতার দেহ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে দেখার পর নিশ্চিন্ত হয়ে স্কুটারটি নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে কোঠুর-এ আরও এক কালভার্টের নিচে স্কুটারটি ফেলে সেখান থেকে চম্পট দেয়।