PM Modi Meet IAF Chief: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল অমর প্রীত সিং রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন।
PM Modi Meet IAF Chief: পহেলগাঁও ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রবিবার বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল অমর প্রীত সিং রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে ANI। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি শনিবার রাজধানীর লোক কল্যাণ মার্গের বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করার পরের দিনই বায়ু সেনার প্রধান গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা স্টাফের প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারপর বিমান বাহিনী প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে। কারণ সমর বিশেষজ্ঞদের অনুমান এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কড়া প্রত্যাঘাত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে ভারত। আর সেই কারণেই সেনা প্রধানদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি সূত্রের অনুমান আবারও ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা এয়র স্ট্রাইকের মত বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আর সেই কারণেই ব্লু প্রিন্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা বায়ু সেনার পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানান হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে বাণিজ্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের জাহাজের জন্য ভারতীয় বন্দরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পাহলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার মাত্র একদিন পর ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) এর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার ভারতের জাতীয় সংকল্পের পুনর্ব্যক্ত করেছে। সরকার বলেছে যে হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসবাদী এবং এর পিছনে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ভারতের প্রতিক্রিয়ার ধরন, লক্ষ্য এবং সময় নির্ধারণের জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা দিয়েছে। পাহলগাঁও জঙ্গি হামলার পর সরকার একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে। বিরোধী দলগুলি সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক গৃহীত যে কোনও পদক্ষেপের জন্য তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে। CCS-এর ব্রিফিংয়ে, সন্ত্রাসী হামলার সীমান্ত-পারের সংযোগগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে এর অবিচল অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলাটি ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সীমান্ত-পারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের সমর্থনের জন্য একটি কঠোর বার্তা পাঠাতে সরকার সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখাসহ একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে।


