সংক্ষিপ্ত
- লাদাখ সীমান্তে বাড়ছে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা
- পরিস্থিতি নিয়ে স্বয়ং বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী
- এরমধ্যেই বায়ুসেনায় তেজসের নতুন স্কোয়াড্রনের এন্ট্রি
- দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস এমকে ওয়ান যুদ্ধবিমান চতুর্থ প্রজন্মের
দেশে ক্রমে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, আর তার সঙ্গেই লাদাখকে কেন্দ্র করে চড়ছে ভারত-চিন উত্তেজনার পারদ। এরমধ্যেই মঙ্গলবার দেশের তিন বাহিনীর প্রধান, ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে ইন্দো-চিন যুদ্ধের আশঙ্কা। আর এর মধ্যেই বুধবার সরকারি ভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত করা হল স্বেদশী প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধ বিমান তেজসের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনকে।
তেজসের নতুন এই স্কোয়াড্রনের নাম রাখা হয়েছে ফ্লাইং বুলেটস। তামিলনাড়ুর সুলুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বুধবার সরকারিভাবে নতুন রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৮ নম্বর স্কোয়াড্রন 'ফ্লাইং বুলেটস'-কে। এখন থেকে এই স্কোয়াড্রন দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস মার্ক ওয়ান যুদ্ধবিমান ওড়াবে। এরপরেই খোদ বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদোরিয়া নিজে লড়াকু যুদ্ধ বিমান তেজসকে নিয়ে আকাশে ওড়েন।
১৮ নম্বর স্কোয়াড্রন বায়ুসেনার দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন যারা তেজস ওড়ানোর দায়িত্ব পেল। সুলুরেই রয়েছে ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন, যারাও তেজস ওড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছে। ১৯৬৫ সালে তৈরি হয়েছিল ১৮ নম্বর স্কোয়াড্রন। এদের মোটো 'তীব্র ও নির্ভয়'। এর আগে এই স্কয়্যাড্রন মিগ-২৭ বিমান ওড়াত। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল এই স্কয়্যাাড্রন। পরে, এই স্কয়্যাড্রন তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু, চলতি বছরের এপ্রিলে এই স্কয়্যাড্রনকে পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তেজস এমকে ওয়ান যুদ্ধবিমান চতুর্থ প্রজন্মের। হাওয়ার চেয়ে দ্রুতগতির (সুপারসনিক) এই যুদ্ধবিমানটি অত্যন্ত হাল্কা ও ছোটো। তেজস ফ্লাই বাই ওয়্যার ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল এভায়োনিক্স এবং মাল্টিমোড রাডার দিয়ে সজ্জিত।
বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ এয়ারক্রাফ্টের জন্য হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়ছিল। সেই দাম ১৮ হাজার কোটি কমিয়ে ৩৮ হাজার কোটিতে এসে ঠেকেছে। তেজসের নয়া ভার্সন বানাচ্ছে হ্যাল। ক্ষিপ্রতায় ও আক্রমণের শক্তিতে তেজসের এই সুপারসনিক এয়ারক্রাফ্ট রাফালের চেয়েও এককাঠি উপরে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বায়ুসেনা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লড়াকু যুদ্ধ বিমান তেজসকে হ্যালের থেকে কিনেছে। করোনার কারণে দেশে চলা লকডাউনের ফলে অর্থনীতি খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ঘোষণা করেছেন। আর তার অংশ হিসাহেই দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর থেকে ৮৩টি যুদ্ধ বিমান কিনছে ভারত সরকার।