সংক্ষিপ্ত
গবেষণাপত্রটি বলছে স্কুলে যদি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তার রোধ করা যেতে পারে। আইসিএমআর এর প্রধান চিকিৎসক বলরাম ভার্গব বলেছেন, স্কুলে যদি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সেটি কৌশলগত দিক হিসেবে কাজ করবে।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় দরে বন্ধ রয়েছে স্কুল। এই অবস্থায় অনলাইনে পড়াশুনাই ভারসা। কিন্তু এবার স্কুল খোলার ( Schoor Reopen)ওপরেই জোর দিচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। ইন্ডিয়ার জার্লান অব মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে প্রাথমিক স্কুল ( Primary School) খোলার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে স্কুলগুলিতে নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষার পরিবর্তে করোনা পরীক্ষার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের জার্নালে বলা হয়েছে ১৮ মাস ধরে এই দেশে বন্ধ রয়েছে স্কুল। তাতে অনেক সময় দেখা গেছে সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে আবার বন্ধ করে দিয়ে হয়েছে স্কুল। বর্তমানে বেশ কিছু রাজ্যে স্কুল খোলা হয়েছে। তবে প্রাথমিক স্কুল খোলার সময় যাতে আগের ভুলগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়া হয় সেদিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে আগের ভুলগুলি শুধরে নিয়েও স্কুল খোলা জরুরি।
Well of Hell: নরককূপে পা পড়ল মানুষের, দেখুন ভূতুড়ে গুহার রোমাঞ্চকর অভিযানের Video
Bharat Bandh: ভারত বনধ সফল বলে দাবি কৃষক নেতার, কাশ্মীর থেকে কেরল কেমন ছিল বনধ
গবেষণাপত্রটি বলছে স্কুলে যদি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তার রোধ করা যেতে পারে। আইসিএমআর এর প্রধান চিকিৎসক বলরাম ভার্গব বলেছেন, স্কুলে যদি করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সেটি কৌশলগত দিক হিসেবে কাজ করবে। এটি অন্য কোনও সাংগঠনিক ও আচরণগত হস্তক্ষেপের বিকল্প নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তনু আনন্দ।
গবেষণাপত্রে কানাডায় ব্যবহৃত স্টোকাস্টিক মডেলেরও উদাহরণ তুলে আনা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে সংবেদনশীল ব্যক্তির উপস্থিতির প্রভাব মূল্যায়ণ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে পুরো ক্লাসের ঘনঘন স্ক্রিনিংয়ের ফলে সংক্রমণের ক্লাস্টার আকার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে স্কুলগুলিতে তাপমাত্রা বা উপসর্গ যাচাই করার পরিবর্তে পরীক্ষা করা জরুরি।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে স্কুলে পড়ুয়াদের আবার ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন ছোটরা কম সংক্রমিত হয়ে। তাঁর অনেক কম সংবেদনশীল। তাই কিছুটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে ক্লাসরুমের পরিবর্তন করে স্কুল খুলতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপত্তার দিকটিও মাথায় রাখতে হবে। কারণ দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ই শিশুরা সেইভাবে সংক্রমিত হয়নি। বিজ্ঞেনীদের দাবি শিশুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হয়েছে।