সংক্ষিপ্ত

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে জানান হয়েছে তাদের প্রত্যাশার থেকেও বেশি সফল হয়েছে বনধ। বিজেরি বিরোধী দলগুলি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। 

১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ভারত বনধ (Bharat Bandh) শেষ হয়েছে সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ। প্রতিবাদী কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইট (Rakesh Tikait) জানিয়েছেন কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ সফল হয়েছে। গত বছর পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইনের (3 Farm Law) প্রতিবাদে এদিন সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার গোটে দেশেই বনধের ডাক দিয়েছিল। বিজেপি ( BJP) বিরোধী অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই বনধকে সমর্থন করেছিল। রাশেক টিকাইট বলেন আমাদের ভারত বনধ সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। দেশের কৃষকদের তাঁদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন। তিনি এদিন আবারও বলেছেন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলতে তাঁরা রাজি রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় আগ্রহী নয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। 

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফ থেকে জানান হয়েছে তাদের প্রত্যাশার থেকেও বেশি সফল হয়েছে বনধ। বিজেরি বিরোধী দলগুলি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। তবে সরকার পক্ষের দাবি অনেক রাজ্যেই স্বাভাবিক ছিল যানচলাচল। বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও দাবি করা হয়েছে। গোটা দেশেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

Well of Hell: নরককূপে পা পড়ল মানুষের, দেখুন ভূতুড়ে গুহার রোমাঞ্চকর অভিযানের Video

আবারও কি ঘর ভাঙছে বিজেপির, কুণালের টুইটের উত্তরে লকেটের মন্তব্যে উঠেছে তেমনই প্রশ্ন

TMC: এবারও কি কংগ্রেসের ঘর ভেঙে শক্তিশালী হবে তৃণমূল, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে 

কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে দিল্লি প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা আর উত্তর প্রদেশে। গাজিপুর ও ধানসা সীমনায় ব্যাহত হয়েছে যানচলাচল। দিল্লির ট্রাফিক জ্যাম ছিল চোখে পড়ার মত। পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রণে রাখতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি পুলিশ বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। গুরুগ্রাম, দিল্লি-নয়ডা ফ্লাইওভারেও থমকে ছিল গাড়ি। পঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই বনধের প্রভাব পড়েছিল। বেশ কিছু জাতীয় সড়ক ও প্রধান সড়ক অবরোধ করা হয়।। পঞ্জাবে বনধের পূর্ণ প্রভাব পড়েছিল। রাস্তা ছিল শুনশান। বন্ধ ছিল দোকানপাট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রায় একই ছবি ছিল হরিয়ানাতে। 

অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কৃষকদের সমর্থনে। প্রথম সারিতেই ছিল সিপিএম। স্থানীয় বাম নেতা তারিগামির নেতৃত্বই চলে বিক্ষোভ। গুজরাট ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে এই রাজ্যে বেশ কয়েক রাস্তায় কৃষকদের বিক্ষোভ অবস্থানের জন্য় ব্যবহত হয়েছিল যান চলাচল। পুলিশ ২৫ জনকে আটক করেছে। মহারাষ্ট্রের স্বাভাবিক জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনধের কারণে। পুনে, নাগপুরে কৃষকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়। মুম্বইয়ে বনধ সমর্থনে রাস্তায় নামে কংগ্রেস। অসমে ভারত বনধের প্রভাব না পড়লেই পাশের রাজ্য ত্রিপুরাতে বনধের প্রভাব পড়েছিল। বামেরাই মূলত বনধের নেতৃত্ব দিয়েছিল। বাম শাসিত রাজ্য কেরলেও বনধের প্রভাব পড়েছিল। বন্ধ ছিল যান চলাচল,দোকানপাট। অন্যদিকে স্বাভাবিক ছিল উপকূলবর্তী গোয়া। অন্ধ্র প্রদেশ, তালিমনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ডের বনধের প্রভাব পড়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বনধের সমর্থনে বামেরা রাস্তায় নেমেছিল। তবে এই রাজ্যে বামরা সংখ্যায় নিতান্তই কম থাকায় তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। বনধের সমর্থনে বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বাম সমর্থকরা।