সংক্ষিপ্ত
বেঙ্গালুরুর পুর এলাকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের জেরে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এই অবৈধ কারবার রুখতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। নাগরিকদের সঙ্গে নিয়েই এই অবস্থা পাল্টাতে চায় তারা। রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর দিলেন অভিনব ভাবনা।
বেঙ্গালুরুর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ পাব, ম্যাসাজ পার্লার, বা অন্যান্য কারবারের কারণে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। আর এই অবস্থাটা পাল্টাতে এবার নাগরিকদের সঙ্গে নিয়েই চলতে চাইছে বিজেপি পরিচালিত ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথাই জানিয়েছেন।
এদিন রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, যদি কোনও অবৈধ কারবারের কারণে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন কোনও নাগরিক তবে সঙ্গে সঙ্গে তা ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকে-র জয়েন্ট কমিশনার ও কমিশনারের কাছে অভিয়োগ করতে। তাতে যদি কাজ না হয় তবে রাজীব নিজে ও আরেক বিজেপি সাংসদ পিসি মোহন ও রাজ্যের বিজেপি বিধায়করা এই অভিযোগগুলি পুরসভাকে জানাবেন।
এই ভাবে নাগরিকদের যুক্ত করেই বেঙ্গালুরু শহরকে বেআইনি কাজ-কারবার মুক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি এই বিষয়ে তাঁর ভাবনা দুই পাতার চিঠিতে বিশদে তুলে ধরেছেন।
বিভিন্ন সময়েই বিভিন্ন সামাজিক ও রৈজনাতিক বিষয়ে মূল্যবান ভাবনার সন্ধান দিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। এর আগে কর্নাটকে ভয়াবহ বন্য়ার সময় তিনি সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থাকে বন্য়াত্রাণে সহায়তা করার ডাক দিয়েছিলেন। এই বছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে তিন বাহিনীর মধ্য়ে সমন্বয় রাখার জন্য চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস পদের কথা বলেছেন, তাও রাজীব চন্দ্রশেখরেরই মস্তিস্ক প্রসূত ছিল। এমনকী ব্রিটিশ আমলে ভারত থেকে লুঠ হওয়া ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারও পেরানোর আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি।