সংক্ষিপ্ত

রাজনাথ লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চলা চিন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে চলা স্থবিরতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন ভারতীয় সৈন্যরা কী করছে, আমরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছি- তা খোলাখুলি বলা সম্ভব নয়।

সুদূর আমেরিকা থেকে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন ভারেতর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, 'কেউ যদি ভারতে ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে ভারত তাকে ছেড়ে কথা বলবে না।' সানফ্রান্সিকোতে ভারতীয় কনস্যুলেটের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বলেন রাজনাথ সিং। এই অনুষ্ঠানেই রাজনাথ সিং চীন সীমান্ত ভারতের সেনাদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরেন। 

এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনাথ লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় চলা চিন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে চলা স্থবিরতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন ভারতীয় সৈন্যরা কী করছে, আমরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছি- তা খোলাখুলি বলা সম্ভব নয়। তবে এটা নিশ্চিত যে চিনের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা গেছে  যা থেকে চিন বুধতে পেরেছে ভারতের কোনও ক্ষতি হলে ভারত কাউকে ছেড়ে দেবে না। ভারত পুরোপুরি দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা মোকাবিলা করার মত শক্তি রাখা বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

পূর্ব লাদাখের অচলাবস্থ সমাধানের জন্য ভারত ও চিন এখনও পর্যন্ত ১৫ দফা সামরিক আলোচনা করেছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা হচ্ছে। গত বছর প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর ও গোগরাপাস এলাকা থেকে চিন সেনা সরিয়ে নিয়েছে। তবে পাল্টা আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করেছে। সেই এলাকাগুলি থেকে যাতে চিন সরে যায় তার জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। 

সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতীয় ও আমেরিকার বাসিন্দাদের কাছে ভাষণ দেওয়ার সময় রাজনাথ সিং আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অধীনে ভারত একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের সেরা তিন অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে  নেওয়ার জ্ন্য এগিয়ে চলেছে। ভারতের গোটা ছবি বদলে গেছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের যেমন গুরুত্ব বেড়েছে তেমনই ভারতের মর্যাদাও বেড়েছ। 

এদিন রাজনাথ সিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও একটি সূক্ষ্ম বার্তা দিয়েছে। বলা হয়েছে 'জিরো-সাম-গেম'এ বিশ্বাস করে না ভারত। কোনও একটি দেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক অন্য দেশের মূল্যে হতে পারে না। তিনি আরও বলেন ভারত একটি দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে অন্য দেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক তৈরি করবে এটা হতে পারে না। তিনি আরও বলেন ভারত কখনই এই  ধরনের কূটনীতি গ্রহণ করেনি। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত নিরপেক্ষ থাকতে চায় হলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন ভারত একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় যা দুই দেশের পক্ষেই গুরুত্বপূর্ণ।