সংক্ষিপ্ত
মাঝেমধ্যেই রেশন দোকান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে আগামী আরো পাঁচ বছর এই প্রকল্পের আওতায় দেশবাসীকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) এর অধীনে দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ প্রত্যেক মাসে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী পেয়ে থাকেন। রেশন দোকানের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে অথবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। সরকার প্রদত্ত এই সকল খাদ্য সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে চাল, গম, তেল ইত্যাদি। বাড়তি সামগ্রী হিসাবে পাওয়া যায় ডাল, সাবান ইত্যাদির মত সামগ্রীও। কার্ডের প্রকার ভেদ অনুসারে বিভিন্ন পরিমাণে রেশন সামগ্রী পান পরিবারগুলি। তবে, এবার নাগরিকদের সুবিধার্থে আরও বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে রেশন ব্যবস্থায়।
মাঝেমধ্যেই রেশন দোকান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে আগামী আরো পাঁচ বছর এই প্রকল্পের আওতায় দেশবাসীকে বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় লক্ষ লক্ষ পরিবার এই সুবিধা পেয়ে আসছে বিগত কয়েক বছর ধরে।
সরকারের উদ্যোগে রেশন দোকানগুলিকে নিউট্রিশন হাব হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তাই চাল, গম শুধু নয়, রেশন দোকান থেকে এবার মিলবে দুধ, ঘি, ছানা সহ দুগ্ধজাত সামগ্রীও। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে কর্পোরেট ধাঁচে রেশন দোকানগুলিকে গড়ে তুলতে। সাধারণ পণ্যের পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করলে ডিলারদেরও অতিরিক্ত লাভ হবে মনে করা হচ্ছে।
পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পনেরোটি রেশন দোকানকে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এর ফলে এই দোকানগুলি থেকে যেমন দুগ্ধজাত পণ্য সহজেই পাওয়া যাবে, তেমনই সেই পণ্যের দাম কিছুটা সস্তাও হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত এবং কর্ণাটকের মতো রাজ্যের রেশন দোকানগুলিকে গড়ে তোলা হবে কর্পোরেট ধাঁচে।
যদিও এই পাইলট প্রজেক্টে আপাতত বাংলার কোনো রেশন দোকান নেই বলেই জানা গেছে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই ধরনের রেশন দোকান গড়ে তোলা হবে।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।