সংক্ষিপ্ত
পরিচ্ছন্ন হচ্ছে গঙ্গার জল
তিন দশকেও এমন ছবি ধরা পড়েনি
উত্তরখণ্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গ সর্বত্র একই ছবি
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন
তিন দশকেও এমন ছবি ধরা পড়েনি। লকডাউনের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে যে ছবি ধরা পড়ল তাতে রীতিমত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় দুষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্যরা। কারণ রীতিমত স্বচ্ছ হয়েছে গঙ্গার জল। পাশাপাশি বেড়েছে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রাও। শুধু গঙ্গা নয়। গঙ্গার উপনদীগুলির ক্ষেত্রেও এই কথা খাটে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। লকডাউনের এই সময়ে রীতিমত জল দূষণ করেছে উত্তর ভারতের নদীগুলিতে। উত্তরাখণ্ড থেকে উত্তর প্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গার এই রূপ পরিবর্তনে রীতিমত সন্তুষ্ট পরিবেশপ্রেমীরা।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বর্জ্য নিঃসরণ ও বর্জ্যের নিস্কাশন হওয়ার কারণেই নদীর দূষণের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে লকডাউনের কারণে প্রায় স্তব্ধ দেশের জনজীবন। বন্ধ রয়েছে বহু কলকারখানা। তাই দূষিত পদার্থ নদীর জলে না মেশায় দুষণের মাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। আর তাতেই জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। প্রাক লকডাউন আর লকডাউন চলাকালীন জলের জলের স্তরের তুলনামূলক মূল্যায়ণ করেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।
সিপিসিবি-র সদস্যরা আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে উত্তরভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তাই নদীবক্ষে জঞ্জাল বেড়ে যাওয়ায় সরজায়গায় জলস্তর সমান ছিল না। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে নদী গতিপথের বেশিরভাগ এলাকাতেই দেখা গেছে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফে জানান হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশের তুলনায় উত্তরাখণ্ডে জল বেশি পরিচ্ছন্ন। তবে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় উত্তর প্রদেশে বেশি কারখানা থাকায় সেখানে দূষণের মাত্রা বেশি। কিন্তু বর্তমানে দুই রাজ্যেও জল ধীরে ধীরে পরিচ্ছন্ন হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ পালঘরের 'বদলা' নিলেন উদ্ধব, সাধু খুনে যোগীকে পাল্টা ফোন ...
আরও পড়ুনঃ বাড়িতেই থাকতে পারবেন করোনা-আক্রান্তরা, চোখ রাখুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইড লাইনে ...