সংক্ষিপ্ত

বুলন্দশহরে ২ সাধুর হত্যা
উদ্ধব ঠাকরে ফোন করলেন যোগী আদিত্যনাথকে
যোগীর পাশে থাকার বার্তা
সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে না দেখতে পরামর্শ

বুলন্দশহরে সাধু হত্য়ার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তারই মধ্যে আসরে নামলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পাল্টা ফোন করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রীতিমত সতর্ক করছেন বালসাহেব ঠাকরে ছেলে। পালঘরের মতই উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে একটি মন্দিরের মধ্যে দুই সাধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সাধুদের হত্যার অভিযোগে রাজু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে  যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। অভিযুক্ত মুরারি ওরফে রাজু জানিয়েছে  ইশ্বরের ইচ্ছাতেই এই হত্যালীলা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে রাজু নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। 

এপর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও বুলন্দশহরে সাধু হত্যাকে ইস্যু করেই মাহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবরও নেন। পাশাপাশি উদ্ধব যোগীকে সতর্কদেন এই বিষয় নিয়ে এখনই কোনও ধর্মীয় রং না লাগাতে। পাশাপাশি যোগীর পাশে থাকার বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল শিবসেনা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দুই দলের বিবাদ প্রকাশ্যে আসে। তারপরই উদ্ধব ঠাকরে বিজেপি হাত ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপি জোট বেঁধেই সরকার গঠন করেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও হন তিনি। যা নিয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে বিজেপিকে। উদ্ধবের বিরুদ্ধে একের এর এক ইস্যু তুলে যাচ্ছে বিজেপি। সংসদীয় রাজনীতির ময়দানে এসেই প্রত্যেকটাই দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিয়েছেন বালা সাহেব ঠাকরের ছেলে। 

কিন্তু পালঘর হত্যাকাণ্ডের পর সাম্প্রদায়িক রং লাগিয়ে কিছুটা হলেও উদ্ধব ঠাকরে ও তার সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। উদ্ধবের বিরুদ্ধে সেই সময় সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে  এনে ফোন করে যোগীকে কিছুটা হলে তাঁর আচরণের শিক্ষা দিলেন উদ্ধব। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন যোগী ফোন করে উদ্ধব আরও বলেছেন,  এই ধরনের অপরাধ মেনে নেওয়া যায় না। একই সঙ্গে তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন। 

শুধু উদ্ধব ঠাকরেই নয়। মহারাষ্টেরের শিবসেনা কর্মীরাও বিষয়টিতে হারিয়ার করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই বুলেন্দশহর হত্যাকাণ্ডে সাম্প্রদায়িক রং না লাগাতেই আবেদন জানিয়েছে। উদ্ধবের সুরে সুর মিলিয়েই কথা বলেনেছে সঞ্জয় রাউত। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তিনি বলেছেন এই ঘটনাকে কখনই রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া উচিৎ নয়।   

আরও পড়ুনঃ বাড়িতেই থাকতে পারবেন করোনা-আক্রান্তরা, চোখ রাখুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইড লাইনে ...

আরও সেম্পেম্বর মাস থেকেই তৈরি হবে করোনার প্রতিষেধক, জল্পনা দানা বাঁধছে বিল গেটসের মন্তব্যে ...