সংক্ষিপ্ত

আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু স্নো-ফল দেশ জুড়ে? ভয়াবহ ঠান্ডার পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

দিল্লিতে তুষারপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে । দিল্লিরবাতাস পরিষ্কার হওয়ায় ঠান্ডাও বেড়েছে। আগামী দিনে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ে তুষারপাত শুরু হয়েছে। উত্তর ও মধ্য ভারতে তাপমাত্রা কমার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কাশ্মীরের বেশিরভাগ জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে পৌঁছে গিয়েছে।

তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ঠিক করে শীত অনুভূত হয়নি। বুধবার মুম্বইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে ডিসেম্বরের উষ্ণতম দিন। ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গালের প্রভাব এখনও দক্ষিণ-পূর্বের রাজ্যগুলিতে দেখা যাচ্ছে। এই কারণে বহু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরে নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা শুরু হবে, যার ফলে ৮ ডিসেম্বর থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, বুধবার মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরতলির তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী সান্তাক্রুজ অবজারভেটরি জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কোলাবা আবহাওয়া স্টেশনে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আইএমডি মুম্বইয়ের বিজ্ঞানী সুষমা নায়ার জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের কালিনা অবজারভেটরিতে তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত সপ্তাহে ২৯ নভেম্বর মুম্বইয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত আট বছরের মধ্যে নভেম্বরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

কলকাতাতেও শুরু শীতের দাপট। দিন কয়েকের মধ্যেই প্রবল ঠান্ডায় কাঁপবে বাংলা। এই বছরের শীত রেকর্ড গড়তে পারে বলেই অনুমান হাওয়া অফিসের।