সংক্ষিপ্ত
তিন দিনের সফরে নাগাল্য়ান্ডে রয়েছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সোমবার তিনি নাগাল্যান্ডের জুনহেবোটো পরিদর্শন করছেন। এটি নাগাল্যান্ডের একটি ছোট্ট জেলা শহর
তিন দিনের সফরে নাগাল্য়ান্ডে রয়েছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সোমবার তিনি নাগাল্যান্ডের জুনহেবোটো পরিদর্শন করছেন। এটি নাগাল্যান্ডের একটি ছোট্ট জেলা শহর। তিনি হলেন প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যিন, গত চার দশকে দেশের প্রত্যন্ত জেলা শহর পরির্দশন করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিমাপুর থেকে সড়কপথে প্রায় ৯ ঘণ্টা যাত্রা করে এই পাহাড়ি শহরে পৌঁছেছেন। তিনি জুনহেবোটোতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের অনুরোধ করেন জেলায় দক্ষতা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাড়াতে একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করার জন্য। যা স্থানীয়দের চাহিদার সঙ্গে খাপ খায়। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে চাকরি ও উদ্যোক্তাদের সুযোগ তৈরি করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমাদের স্থানীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করা উচিত এবং অভিবাসন হ্রাস করা উচিত শহুরে কেন্দ্রে”।
রাজীব চন্দ্রশেখবর কেন্দ্রীয় সরাকের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর্যালোচনা করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি তুলে ধরেন। পাশাপাশি কর্মীরা যাতে শেষ পর্যন্ত উদ্যোগীভাবে কাজ করে তারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই কাজ করছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুনহেবোটোতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধেভোগীদের সঙ্গে দেখা করেন। যাঁরা তাঁকে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সুবিধে পাওয়ার জন্য তাঁদের জীবনে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন প্রত্যন্ত এলাকার উন্নয়ন দেখে তিনি মোদী সরকারের একজন মন্ত্রী বলেও গর্ববোধ করেন। তিনি বলেন এই সরকার দেশের সব মানুষের জীবন বদলে দিচ্ছে। 'সবকাসাথ সবকা বিশ্বাস'এটাই প্রধানমন্ত্রীর মূল মন্ত্র।
রাজীব চন্দ্রশেখর এদিন বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।তাদের সাথে নিউ ইন্ডিয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রসাদের উপর ভিত্তি করে।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুমি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ পরিদর্শন করেন ও প্রার্থনা করেন। এটি এশিয়ার বৃহত্তম ব্যাপটিস্ট গির্জা হিসাবে পরিচিত। সেখানে থেকেই তিনি ওখার উদ্দেশ্যে রওনা হন, যেখানে তিনি সিরিজে অংশ নেন জেলা কর্মকর্তা, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে বৈঠক করেন। একই সঙ্গে লংসা কাউন্সিল হলের প্রবীণদের ছাড়াও এবং
লোথা হোহো এবং এলো হোহো সংস্থার কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। শ্রী চন্দ্রশেখর আগামিকাল সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরবেন