সংক্ষিপ্ত

ছেলের কথা মতো মাকে খুন করেছে বাবা। পুলিশ এখন অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বামী জানায় কেন সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে?

 

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পুলিশ কবর থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। স্বামী জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে মহিলার সাত বছরের ছেলে একটি চমকপ্রদ কথা জানাল। ছেলের কথা মতো মাকে খুন করেছে বাবা। পুলিশ এখন অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বামী জানায় কেন সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে?

ঘটনাটি ঘটেছে মুসৌরি থানার দাসনায়। নিহত নারীর নাম রুখসার। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শাহনেওয়াজ। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলাকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। রুখসার অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে শাহনওয়াজ তার শ্বশুরকে জানিয়েছিলেন। তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এরপর পিলখুয়া কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

ছেলে প্রকাশ করল

লাশ কবর দেওয়ার একদিন পর অভিযুক্ত শাহনওয়াজের ৭ বছরের ছেলে তার বাবার অপকর্মের কথা প্রকাশ করে। ছেলেটি তার মামাবাড়িতে তার দাদু-দিদা ও মামাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। শাহনেওয়াজকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে। পরে সে তাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরিবারের সদস্যরা মুসৌরি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

প্রতিবেদন নথিভুক্ত করার পর পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে কবর খনন করে পিলখুয়া কবরস্থান থেকে রুখসারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুখসারের মৃত্যুর কারণ শ্বাসরোধ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আট বছর আগে শাহনওয়াজের সঙ্গে বিয়ে হয় রুখসারের। প্রথম দিকে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একে অপরের সঙ্গে খুব ভালোবেসে বসবাস করলেও বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলার সম্পর্ক হয়। তার বোন এর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করত। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে।

ওই মহিলার ভাই জানান

নিহত মহিলার ভাই রুখসারের কথা মতো, মামলা দায়েরের পর উভয়পক্ষের মধ্যে সিদ্ধান্ত হলে শাহনেওয়াজ রুখসারকে সঙ্গে নিয়ে মুঘল গার্ডেনের একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই তর্ক এবং মারামারি হয়. অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ তার বোনকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।