সংক্ষিপ্ত

  • আগামী ১৯ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল
  • তার আগেই কর্ণাটকের ৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচন
  • রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেপির হয়ে সাংসদ হলেন ২ অপরিচিত মুখ
  • বিরোধী শিবির থেকে নির্বাচিত ২ দুঁদে রাজনীতিক দৈবগৌড়া ও খাড়গে

তিনি ফের সাংসদ হন চেয়েছিলেন খোদ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী। আর কংগ্রেস সভানেত্রীর ইচ্ছেমতোই  কর্ণাটক থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। তবে কেবল দেবগৌড়া নন কর্ণাটক থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শাসক দল বিজেপির দুই প্রতিনিধিও। 

শুক্রবার ছিল রাজ্যসভার প্রার্থীপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৯ জুন। কিন্তু যেহেতু চার আসনের জন্য চারজনই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাই সকলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। শুক্রবারই তাঁদের নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেন কর্ণাটক বিধানসভার সচিব এম কে বিশালাক্ষী।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবহেলা করেছে সরকার, দীর্ঘ জেরার সম্মুখীন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী

যে চার আসনে এঁরা নির্বাচিত হলেন সেই চার আসন খালি হয়েছিলো জেডি(এস)-এর ডি কুপেন্দ্র রেড্ডি, কংগ্রেসের বি কে হরিপ্রসাদ, এম ভি রাজীব গৌড়া এবং বিজেপির প্রভাকর কোরের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায়।

 বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব চেয়েছিল, এবারও ফের প্রবহর কোড়েকে প্রার্থী করতে। তার সঙ্গে নাম উঠেছিল রমেশ কাট্টি ও প্রকাশ শেট্টি। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁদের নাম নাকচ করে দেয়। বদলে বিজেপি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় রাজ্যসভায় গেলেন এরান্না কাডাডি ও অশোক গাস্তি। কর্ণাটকের রাজনীতিতে তাঁরা তেমন পরিচিত মুখ নন বলেই জানা যাচ্ছে। এরপরেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা সাংবাদিক সম্মলনে  বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আমি খুশি হয়েছি। বিজেপিই একমাত্র দল যে সাধারণ কর্মীদের রাজ্যসভায় প্রার্থী করে।”

এদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য ফের রাজ্যসভায় যাচ্ছেন জনতা দল সেকুলারের নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া। ৮৭ বছরের দেবগৌড়া কেবল নিজের দলের সমর্থন পেলে নির্বাচিত হতে পারতেন না। কংগ্রেসের সমর্থনও পেয়েছেন তিনি। আর বর্ষীয়াণ এই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি বিজেরিও। এরআগে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় রাজ্যসভায় নির্বাচি হয়েছিলেন দেবগৌড়া। 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১ লক্ষ, এবার বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির আনাচ্ছেন উদ্ধব

রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর দেবগৌড়া বলেন, “লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আর কখনও নির্বাচনে লড়ব না। কিন্তু বিধানসভার দুই কক্ষে আমাদের যত বিধায়ক আছেন, তাঁরা একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমাকে রাজ্যসভায় পাঠাবেন। আমি প্রথমে তাঁদের কথায় রাজি হইনি। কিন্তু পরে  সনিয়া গান্ধীজি আমাকে অনুরোধ করেন, তিনিও চান, আমি রাজ্যসভায় যাই।” 

কর্নাটক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও। এর আগে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা থেকেছেন খাড়গে। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান তিনি। ৭৭ বছরের খাড়গে বলেন, “আমি সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। আমি দীর্ঘকাল সংসদ ও বিধানসভার সদস্য থেকেছি। সেজন্য কর্নাটকের মানুষের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি আগামী দিনে তাঁদের আস্থার মর্যাদা রাখতে পারব।”

কর্ণাটকে এবারের রাজ্যসভা নির্বাচনে গতবারের তুলনায় কংগ্রেসের একটি আসন কমে গেল এবং বিজেপির একটি আসন বাড়লো। যদিও কর্ণাটকে জোটের সমীকরণ অনুসারে এইচ ডি দেবেগৌড়া শেষপর্যন্ত ইউপি-এর পক্ষেই থাকবেন বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।