সংক্ষিপ্ত

  • বিজ্ঞাপন নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে একটি সংস্থা
  • যেখানে বিজ্ঞাপন নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য 
  • ৭৫ শতাংশের মতেই শিশুদের প্রভাবিত করছে বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ ৬ মাস ধরেই গৃহবন্দি দেশের শিশু আর কিশোররা। স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার কারণে তাঁরা বাড়িত থেকেই পড়শুনা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অবসরের সময়ও অনেকটাই বেড়েগেছে তাদের। গৃহবন্দি অবস্থায় শিশুদের অবসরের বন্ধি টেলিভিশন বা স্মার্ট ফোন। অনলাইন বা অফলাইন গেম খেলে বা ফোন দেখে অথবা টিভি দেখেই সময় কাটাচ্ছে তারা। আর তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকগের। কারণ গত অগাস্ট মাসে লোকস সার্কেলস নামের বেসরকারি একটি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল। আর সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের ৭৫ শতাংশ অধিভাবকই মনে করছে শিশুরা দিগভ্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ আর বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে। সংস্থাটি ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে তাদের প্রশ্ন নিয়ে গিয়েছিল। যেখানে ৮০শতাংশ মনে করছে বিজ্ঞাপণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের একটি কমিটি গঠন করার জরুরি।  

সংস্থাটির প্রথম প্রশ্নটি ছিল 
টিভি, প্রিন্ট আর ডিজিটাল বিজ্ঞাপণ নিয়ে আপনার কী মতামত? 

সেই প্রশ্নে উত্তর মাত্র ৭ শতাংশ মানষই জানিয়েছেন বিজ্ঞাপনগুলি যথেষ্ট পরিষ্কার। কিন্তু ৮৭ শতাংশই মানুষই বলেছেন এগুলি শোনা দেখা আর পড়া খুবই কষ্টকর। 

 


সংস্থাটির পরের প্রশ্ন ছিল গত একবছরে যেসব বিজ্ঞাপন তৈরি হয়েছে সেগুলি শিশুদের জন্য কতটা উপযোগী? 
সেই প্রশ্নের উত্তরে ৮৬ শতাংশ মানুষই বলেছেন বিজ্ঞাপনগুলি শিশুদের জন্য মটেও উপযোগী নয়। 

লোকাল সার্কেলের সমীক্ষায় উঠে এসেছে একটি ব্যতিক্রমী তথ্য। কারণ বিজ্ঞাপনে কোনও একটি ভোগ্যপণ্যে যে দাম দেওয়া থাকে তার সঙ্গে বাজারের দামের কোনও মিল পাওয়া যায়না বলেই অভিযোগ করেছেন বহু মানুষে। আর সেই সংখ্যাটা ৭৩ শতাংশ। সমীক্ষা চালান হয়েছিল ৮ হাজার ৪২৮ জনের ওপর। 

প্রশ্ন গত এক বছরে বিজ্ঞাপনে দেখানো ভোগ্যপণ্যের দামের সঙ্গে বাজার মূল্য নিয়ে কী অভিজ্ঞতা? 

৪৭ বিজ্ঞাপনে পণ্যের যে দাম দেখানো হয়, তা বাজারে কিনতে যাওয়ার সময় এক হয় না। অনেকটাই বেশি হয় বলেও জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। 


লোকাল সার্কেলেস এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য। যেখানে অনেক অভিভাবকই মনে করেছেন বিজ্ঞাপনগুলি তাঁদের সন্তানদের বিভ্রান্ত করছে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভারতের ৩২০টি জেলায় এই সমীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশ কতগুলি গ্রামীণ জেলাও রয়েছে।