সংক্ষিপ্ত

দুই দেশের সম্পর্কের ওপর জোর দিলের ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি। তিনি বলেন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তিতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন ঐতিহাসিহ যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক। তেমনই চাইছেন তাঁরা। ভারতে সফরতর ইতিলিয়ান প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি তেমনই জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার। তিনি বলছেন ভারত যেভাবে জি-২০ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে সেই ভাবেই রাশিয়া ও ইউক্রেনেত শত্রুতা বন্ধ করার জন্য আলোচনা প্রক্রিয়া যাতে এগিয়ে যায় সেক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিক। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। ববেন ইতালি ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি আরও বলেছেন ভারত গ্লোবাল সাউথ দেশগুলির খুব ভাল প্রতিনিধি হতে পারে। বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্প উন্নত দেশগুলিকে সাধারণত গ্লোবাল সাউথ দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন , ইউক্রেন সংঘাতের সমাধান খুঁজতে শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য ভারত পুরোপুরি তৈরি। ইউক্রেন সংঘাতের প্রথম থেকে ভারত স্পষ্ট করে বলেছে এই বিরোধ শুধুমাত্র আলোচনা আর কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে ভারত তৈরি রয়েছে। মেলোনি আরও বলেছেন, এই এলাকায় তিনি প্রথম সফর করছেন। তাই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও আর্থিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরেও তিনি জোর দিয়েছে।

মোদী আরও বলেছেন তিনি ও ইতিলির প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইতিলির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি বলেন ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সব দেশেই খাদ্য ও সারের সংকট দেখা দিয়েছে। তৈরি হয়েছে পেট্রোল ডিজেল ও গ্যাসের মত প্রয়োজনী জ্বলানির সমস্যা। উন্নয়নশীল দেশগুলি যুদ্ধের কারণে নানাভাবে প্রভাবিত হয়েছে। তাই ভারত যদি ইউক্রেন যুদ্ধ মেটানোর জন্য কোনও পদক্ষেপ নেয় তাহলে ইতালি সর্বতভাবে ভারতকে সাহায্য করবে। ইতিলি সর্বদা ভারতের পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি মোদীর জনপ্রিয়তার কথাও তুলে ধরেন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ভারত ও ইতালির সম্পর্ক আরও উন্নত করা দিকেই জোর দেবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে দুই দেশ নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে। তিনি বলেন প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সহ-উপাদন ও সহ উন্নয়নের সুযোগ উভয় দেশের জন্য উপকারী হতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তারা তাদের সেনাবাহিনীর যৌছ মহড়া ও প্রশিক্ষণের কোর্স করতে সম্মত হয়েছে। ভারত ও ইতালি সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে ও একে অপরকে সহযোগিতা করতে সমর্থ হয়েছে বলেছে বলেও দাবি করেন তিনি।