সংক্ষিপ্ত

এদিন স্পেনের বিদেশমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল বলেন "ভারত আমাদের একসঙ্গে আনার জন্য, সর্বাধিক চেষ্টা করে চলেছে। আমাদের সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জায়গা করে দিয়েছে ভারত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও ভারত যেভাবে শান্তির চেষ্টা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য। ঠিক এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশনীতির প্রশংসা করলেন স্পেনের বিদেশমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবেরেস বুয়েনো। শান্তির আহ্বানে ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে স্পেনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন যে পশ্চিমী দেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যবধান কমানোর ক্ষেত্রে ভারত একটি দুর্দান্ত কাজ করছে। স্পেন আশা করে যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তি বজায় থাকবে। কারণ রাষ্ট্রসংঘের সনদের মূলনীতিই হল বিশ্বমঞ্চে শান্তি বজায় রাখা।

এদিন স্পেনের বিদেশমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল বলেন "ভারত আমাদের একসঙ্গে আনার জন্য, সর্বাধিক চেষ্টা করে চলেছে। আমাদের সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার জায়গা করে দিয়েছে ভারত। তার এই চেষ্টা রীতিমত প্রশংসার যোগ্য। আমি আশা করি যে আমরা সবাই রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতিগুলির মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার দিকে কাজ করতে পারি।" সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রতিক্রিয়ায় স্পেনের বিদেশমন্ত্রী এই বার্তা তুলে ধরেন।

ম্যানুয়েল আরও বলেন "আমি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর কাছ থেকে যে বক্তৃতা শুনেছি এবং দেখেছি, আমি মনে করি না যে রাশিয়া একটি গ্রহণযোগ্য বিবৃতি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। একটি বিবৃতি যা রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতির মধ্যে শান্তি ও ন্যায়বিচারের আহ্বান জানায়। তাই, এটা তাদের উপর নির্ভর করে যে বাকি দেশগুলির প্রতি কী রকম মানসিকতা নিয়ে তারা চলবে। তবে আমি মনে করি না যে তারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মুডে আছে"।

বিশ্বের নানা দিকে হতে থাকা সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর বক্তব্যে। ম্যানুয়েল বলেন "আমরা এও দাবি করেছি যে এই যুদ্ধের একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং বৈশ্বিক প্রভাব রয়েছে এবং অবশ্যই স্পেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। নিরাপত্তা ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে এমন সমস্ত দেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী স্পেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেখানে বড় ধরনের উন্নয়ন তহবিল রয়েছে। আমরা সবাই ইউক্রেনের জন্য চেষ্টা করছি, যতক্ষণ তার প্রয়োজন, আমরা সবাই পাশে রয়েছি। তবে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না যা আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার জন্য ক্ষতিকর হয়" বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন "আমি সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কিছু আন্তর্জাতিক ঘটনাকে সম্বোধন করেছি। আমাদের বহুপাক্ষিকতা দরকার, আমাদের G20 দরকার। ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন শুধু ইউক্রেনের জন্যই হুমকি নয়, এটি বহুপাক্ষিকতা এবং মৌলিকতার জন্যও বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে। বহুপাক্ষিক বিশ্বের নীতি হওয়া উচিত"।