সংক্ষিপ্ত

ভারতে শিক্ষা ভিত্তিক বেতন: কেন্দ্র সরকার নতুন বেতন বিল আনতে পারে, যেখানে শিক্ষার ভিত্তিতে বেতন নির্ধারিত হবে এবং প্রতি বছর বেতন বাড়ানোর বিধানও থাকতে পারে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

নতুন বেতন বিল ভারত: এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে প্রত্যেক চাকরিজীবী ব্যক্তি চান যে তার বেতন এমন হোক যাতে সংসারের খরচ সহজে চালানো যায়। কিন্তু আজও লক্ষ লক্ষ মানুষ আছেন, যারা খুব কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন। এখন খবর আসছে যে কেন্দ্র সরকার একটি নতুন বেতন বিল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার ফলে সরকারি ও বেসরকারি খাতের কর্মীদের কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

নতুন প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে? (Government New Salary Proposal)

রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি এই বিল পাশ হয়, তাহলে কোনো কোম্পানি তাদের কর্মীদের এর থেকে কম বেতন দিতে পারবে না, তা সে সরকারি হোক বা বেসরকারি। সূত্র মারফত জানা গেছে, এই প্রস্তাবে শিক্ষার ভিত্তিতে ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক (12th pass): কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বেতন, গ্র্যাজুয়েট: কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা বেতন, পোস্টগ্র্যাজুয়েট: কমপক্ষে ৩৫ হাজার টাকা বেতন হবে।

প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি হবে? (Salary Increment Proposal)

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিলে এমনও বিধান থাকতে পারে যে কর্মীদের বেতন প্রতি বছর বাড়ানো হবে। এছাড়াও, যাদের আগে থেকেই বেশি বেতন আছে, তাদের বেতনে কোনো রকম কাটছাঁট করা হবে না। জানিয়ে দি যে ভারতে কোটি কোটি মানুষ আছেন, যারা তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী সঠিক বেতন পান না। এই বিল লাগু হলে কম বেতন পাওয়া কর্মীরা স্বস্তি পাবে এবং কোম্পানিগুলোকেও নির্ধারিত নিয়ম মেনে বেতন দিতে হবে।

নতুন বেতন বিল ভারত: সরকারের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে?

এখনো পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার এই বিল নিয়ে কোনো সরকারি বিবৃতি দেয়নি। কিন্তু যদি এই প্রস্তাব সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি এই বছরই সংসদে পেশ করা হতে পারে। যদি এই বিল পাশ হয় তাহলে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেতনের গ্যারান্টি হবে। যোগ্য প্রার্থীরা তাদের শিক্ষা অনুযায়ী সঠিক বেতন পাবে। প্রতি বছর বেতন বাড়ানোরও বিধান থাকতে পারে। এখন দেখার বিষয় সরকার সত্যি এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপকে এগিয়ে নিয়ে যায় নাকি।