সংক্ষিপ্ত
- দৈনিক সংক্রমণে পুরনো সব রেকর্ড এবার ভাঙল
- এক দিনে আক্রান্ত হলেন ৬৯,৬৫২ জন
- দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ছাড়িয়ে গেল
- পাশাপাশি করোনায় মৃত্যু ৫৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে
ফের একবার দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ে ফেলল দেশ। এই প্রথম দৈনিক আক্রান্ত ৭০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯,৬৫২ জন। যা এদেশে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯২৬।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৭ জনের। ফলে ভারতে মোট কোভিড ১৯ রোগের মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৩ হাজার ৮৬৬।
তবে এসবের মধ্যে দেশবাসীর কাছে একটাই আশার খবর সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত ভারতে মারণ ভাইরাসকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৬৫ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮ হাজার ৭৯৪ জন।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত এক সপ্তাহ ধরে এই হার রয়েছে নয় শতাংশের কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৮ শতাংশের নিচে নেমেছে। এদিকে ভারত দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষা বুধবার রেকর্ড গড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার গোটা দেশে ৯ লক্ষ ১ ৮ হাজার ৪৭০ কোভিড টেস্ট হয়েছে। দিন কয়েক আগেও যা ভাবা সম্ভব ছিল না। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৬১ হাজার ২৫২ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।
কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ পাঁচ রাজ্যের। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশে। ভারতে করোনায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ৬ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৪২ জন সংক্রামিত। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ১৩ হাজার ১৬৫টি পজিটিভ কেস ধরা পড়ে। শুধু এদিনই মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের।
অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯ হাজার ৭৪২ জন। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিত ৮ হাজার ৬৪২ জন। রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১২৬ জনের। মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩২৭। এর পরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি। যদিও জুলাই থেকেই বেশ লাগাম পড়েছে রাজধানীর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে।