সংক্ষিপ্ত

  • দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ২৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে
  • এখনও দৈনিক আক্রান্তে আমেরিকা ও ব্রাজিলের চেয়ে এগিয়ে ভারত
  • তবে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩.৬৪ শতাংশ
  • গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা ফের ৮ লক্ষের উপরে

ফের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজারের গণ্ডি ছাপিয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমমের শিকার হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৩১ জন। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৭৪। এদিনও দৈনিক আক্রান্তের সংখঅযা আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে এগিয়ে থাকল ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪ হাজার ৫১৯ ও ৪৭ হাজার ৭৮৪ জন।

 

 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এদেশে প্রাণ কেড়েছে ১০৯২ জনের। ফলে কোভিড ১৯ রোগে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৮৮৯ জন। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে আশার খবর দেশে সুস্থতার হার। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লক্ষ ছাড়ালেও ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লক্ষের বেশি মানুষ।

বর্তমানে দেশে করোনা জয়ীর মোট সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭১। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ভারতে এখন ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫১৪। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৯১ জন আক্রান্ত। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩.৬৪ শতাংশ।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত এক সপ্তাহ ধরে এই হার রয়েছে নয় শতাংশের কম।  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৮.০৫ শতাংশ। এদিকে ভারতে করোনার নমুনা পরীক্ষা সোমবারই ৩কোটি ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার  গোটা দেশে ৮ লক্ষ ১ হাজার ৫১৮  কোভিড টেস্ট হয়েছে। দিন কয়েক আগেও যা ভাবা সম্ভব ছিল না। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৭৮২ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। 

 

 

কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত ৬ লক্ষ ১৫ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। অন্ধ্রপ্রদেশেও মোট আক্রান্ত তিন লক্ষ পার করেছে। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৪০ হাজার মতো। এর পর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ  ও দিল্লি। দুটি  রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ পার করেছে। যদিও জুলাই থেকেই বেশ লাগাম পড়েছে রাজধানীর সংক্রমণ বৃদ্ধিতে।