সংক্ষিপ্ত
রাজধানীতে প্রকাশ করা হল ভারতের প্রথম আরআরটিএস ট্রেন-এর নকশা
দিল্লি থেকে গাজিয়াবাদ হয়ে মীরাট পর্যন্ত যাবে এই বিশেষ ট্রেনগুলি
৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডোর-এর মধ্যে দিয়ে যাবে ট্রেনগুলি
ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে এই ট্রেন
শুক্রবার রাজধানীতে ভারতের প্রথম ব়্যাপিড ট্রানজিট ট্রেন-এর চেহারা প্রকাশ্যে আনল। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মীরাট এর মধ্যে ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ আরআরটিএস করিডোর-এর মধ্যে ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটবে এই ট্রেন। এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে, ভারত সরকার এবং দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারগুলির যৌথ সংস্থা এনসিআরটিসি-র আওতায়। সংস্থার দাবি এই প্রথম ভারতে এই রকম প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে চলার মতো সক্ষম ট্রেন তৈরি করা হল।
এর বাইরের কাঠামো ইস্পাতের হলেও ওজন অত্যন্ত কম। বায়ুপ বাধা কাটানোর উপযুক্ত নকশা সহ এই ট্রেনগুলি সম্পূর্ণরূপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। জানা গিয়েছে এই ট্রেনগুলির প্রতিটি কামড়ায় দুপাশে তিনটি করে মোট ছয়টি স্বয়ংক্রিয় প্রশস্ত দরজা থাকবে। বিজনেস ক্লাসে থাকবে দুটি পাশে দুটি করে চারটি দরজা। পর্যাপ্ত পা রাখার জায়গা সহ পাশাপাশি দুজন বসার মতো দুটি করে আসন থাকবে, যেগুলি প্রয়োজনে হেলিয়ে নেওয়া যাবে। আর দুটি আসনের মাঝে ধরার হাতল-সহ দাঁড়িয়ে যাওয়ার প্রশস্থ জায়গা থাকবে। এছাড়া মাথার উপর মাল রাখার জায়গা, মোবাইল / ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জায়গা এবং ওয়াই-ফাই সুবিধা থাকবে। এনসিআরটিসি-র দাবি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত হলেও আরআরটিএস ট্রেনগুলি অত্যন্ত কম শক্তিতে চলবে।
আরআরটিএস করিডোর দিল্লি থেকে মীরাট যাওয়ার সময় এখনকার তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেবে। বর্তমানে সড়কপথে দিল্লি থেকে মীরাট যেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। সেখানে আরআরটিএস করিডোর চালু হলে এই পথ যেতে সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম। ২০২৩ সালেই এই করিডোরের একটি অংশ চালু করার লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে। পুরো করিডোরটি ২০২৫ সালেই চালু হওয়ার কথা।
এই করিডোরে চলার ট্রেনগুলি তৈরি করছে বোম্বার্ডিয়ার সংস্থা। সংস্থার গুজরাতের সাবলি কারখানায় এই ট্রেনগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এনসিআরটিসি তাদের থেকে এই করিডোরের রেল পরিষেবার জন্য ৬ কামড়ার মোট ৩০টি ট্রেন সংগ্রহ করবে। আর শুধু মীরাটে স্থানীয় পরিষেবা পরিচালনার ৩ কামড়ার আরও ১০টি ট্রেন নেওয়া হবে।