সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ২১ লক্ষ ছাড়াল
- এখনও প্রতিষেধক না মেলায় ভরসা সেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন
- বিশ্বের একের পর এক দেশের আবেদন আসছে ভারতের কাছে
- ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত ৫৫টি দেশে পাঠান হয়েছে ওষুধটি
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২১ কোটি। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণেনর ঘটনা। এদিকে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে এখনও কমপক্ষে বছর খানের সময় লাগবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই অবস্থায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দিয়েই অধিকাংশ দেশ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছে। আর সেই কারণেই করোনা আক্রান্ত এখন গোটা বিশ্বই কার্যত তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে।
ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের শিকার হওয়া বিশ্বের ৫৫টি দেশে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছে ভারত সরকার। তারমধ্যে আমেরিকা, মরিশাস, সেশেলই সহ একাধিক দেশে ওষুধটি পৌঁছে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বাকি দেশগুলিতেও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছে যাবে বলে ভারত সরকারের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে।
করোনা যুদ্ধে অবশেষে মোদীর স্মরণে ইমরান, লকডাউনের মাঝেই পাকিস্তানিদের দেশে ফেরাল ভারত
ওষুধ দেওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন মোদী, ৫.৯ মিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য সহায়তা পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প
ভারতের করোনা যুদ্ধে চিন্তা বাড়াচ্ছে চিন, আমদানি করা পিপিই কিটের মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দাবি করছে সেদেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা থেকে মুক্তি দিতে ম্যাজিকের মত কাজ করছে। নিউইয়র্কের দেড় হাজারেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এর পরীক্ষা করে সাফল্য মিলেছে। তারপরেই ম্যালেরিয়ার এই ওষুধ চেয়ে ভারতের কাছে হাত পাতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে এদেশে যাতে আকাল না পড়ে তার জন্যই গত ২৫ মার্চ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকির পর মানবিকতার স্বার্থেই করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে ওষুধটি পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। তারপর থেকেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়ে মোদী সরকারের কাছে একের পর এক দেশের আবেদন জমা পড়ে চলেছে।
ইতিমধ্যে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রতিবেশী আফগানিস্তান, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল, মলদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা ও মানায়মারে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। পাকিস্তানও এবার দেশে করোনা পরিস্থিতি সামলদিতে দিতে এই ওষুধ চেয়ে ভারতের কাছে হাত পেতেছে বলে সূত্রের খবর।
এছাডাও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রাপকদের তালিকায় রয়েছে জিম্ববোয়ে, ডমেনিকান রিপাব্লিক, মাদাগাস্কার, উগান্ডা, বুর্কিনা ফাসো, নিগার, মালি, কঙ্গো, মিশর, আর্মেনিয়া, কাজখাস্তান, ইকুয়েডর, জামাইকা, সিরিয়া, ইউক্রেন, চাঁদ, জাম্বিয়া, ফ্রান্স, জর্ডন, কেনিয়া, নেদারল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ওমান এবং পেরু।
ইতিমধ্যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পৌঁছে গিয়েছে যেসব দেশগুলিতে তাদের মধ্যে রয়েছে ফিলিপিন্স, রাশিয়া, স্লোভানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, তাঞ্জানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, উজবেকিস্তান, উগুগুয়ে, কলম্বিয়া, আলজেরিয়া, বাহামাস, মরিশাস এবং ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য।
সূত্রের খবর অনুদান ছাড়াও একাধিক দেশে বাণিজ্যিক ভাবে এই ওষুধ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত ক্লোরোকুইন তৈরিতে বিশ্বের প্রথম সারিতে রয়েছে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্লোরোকুইন উৎপন্ন হয় এখানেই। তাই সারা বিশ্বই ভারতের দিকে তাকিয়ে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের জন্য।