মায়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টের তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারত। রিপোর্টে পহেলগাঁও জঙ্গিহানার সঙ্গে মায়ানমারের শরণার্থীদের যুক্ত করার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। 

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে আপত্তি জানাল ভারত। মায়ানমারে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে আপত্তি জানিয়েছে। কারণ রিপোর্টে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের কথা বলতে গিয়ে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার প্রসঙ্গ টেনেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠন। রিপোর্টের ওই অংশে নিন্দা জানিয়ে নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওই রিপোর্টে ভারতের অবস্থানের সঠিক বিশ্লেষণ করা হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার তৃতীয় কমিটিতে চলতি সপ্তাহে ভারতের হয়ে বক্তৃতা করেন লোকসভার বিজেপি সাংসদ দিলীপ সাইকিয়া।

বিজেপি সাংসদ দিলীপ সাইকিয়া বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ প্রতিবেদকের এই ধরনের পক্ষপাতদুষ্টতা এবং অস্পষ্ট বিশ্লেষণকে খারিজ করে আমার দেশ।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থা মায়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ১৭ পাতার একটি বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টটি তৈরি করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস অ্যাড্রুস। রিপোর্টের একটি অংশ তিনি লেখেন, মায়ানমারের কোনও ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিলেন না। কিন্তু গত এপ্রিলে ওই হামলার পর থেকে মায়ানমারের শরণার্থী-রা ভারতে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছেন। অ্যান্ড্রুসের দাবি, শরণার্থী-রা তাঁকে জানিয়েছেন গত কয়েক মাসে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের তলব এবং আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এমনকি মায়ানমারে প্রত্যর্পণের হুমকি ও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টের নিন্দা করেছেন নয়দিল্লির প্রতিনিধি সাইকিয়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার তিনি স্পষ্ট করে দেন, গত এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হানার সঙ্গে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জুড়ে দিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।

এদিকে রিপোর্টের এক অংশের পরেই গত মে মাসের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি দাবি, ওই সময় দিল্লিতে ধরা পড়া নারী, শিশু-সহ প্রয়া ৪০ জন রোহিঙ্গাকে একটি সামরিক বিমানে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁদের কাছে শরণার্থী শণাক্তকরণ নথি ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি রিপোর্টে লিখেছেন, ওই শরণার্থীদের হাতে লাইফ জ্যাকেট ধরিয়ে মায়ানমারের দিকে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় সাইকিয়া এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, গত এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হানার সঙ্গে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের জুড়ে দিয়ে যে দাবি করা হয়েছে বাস্তব ভিত্তিহীন।