সংক্ষিপ্ত

সফল বিস্ফোরণ হল দূরপাল্লার সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড টর্পেডোর (SMART)। সোমবার ওডিশার বালাসোর উপকূলে এই পরীক্ষা করা হয়। 

একের পর এক ব্রহ্মাস্ত্র ভারতের (India) হাতে। চিন পাকিস্তানের বুকে কাঁপন ধরিয়ে এবার সফল বিস্ফোরণ হল দূরপাল্লার সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড টর্পেডোর (Supersonic Missile Assisted Torpedo)। সোমবার ওডিশার(Odisha) বালাসোর উপকূলে (coast of Balasore) এই পরীক্ষা করা হয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্র ডিআরডিও-র (DRDO) হাতে তৈরি এই টপের্ডো দেশের নৌসেনাকে(Indian Navy) আরও শক্তিশালী করবে বলেই ধারণা।  

ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই সিস্টেমটি অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ারের ক্ষমতা বাড়াবে। টপের্ডোর সাধারণ রেঞ্জের তুলনায় এর রেঞ্জ অনেকটাই বেশি বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর, DRDO এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) পোখরান রেঞ্জ থেকে দেশীয়ভাবে তৈরি হেলিকপ্টার লঞ্চ করা SANT (স্ট্যান্ড-অফ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক) ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট-পরীক্ষা করেছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি অত্যাধুনিক MMW সিকার দিয়ে সজ্জিত, যা নিরাপদ দূরত্ব থেকে নির্ভুল স্ট্রাইক করতে সক্ষম। এই অস্ত্রটি ১০​কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করার ক্ষমতা রাখে। 

এর আগে, ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ (successfully test-fired) হয়। ওডিশার উপকূলে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos supersonic cruise missile) বায়ু সংস্করণের (air version) সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত(India)। ডিআরডিও-র সূত্র জানায় ব্রহ্মোস একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র। এটির একটি শক্তি প্রপঞ্চল বুস্টার ইঞ্জিন থাকে। প্রথম পর্যায়ে যা এটিতে সুপারসনিক গতি নিয়ে আসে। তারপর এটি থেকে পৃথক হয়ে যায় সেই ইঞ্জিন। 

ডিআরডিও জানায় এই মিশন বায়ুসেনার শক্তিতে নতুন মাইলস্টোন যোগ করবে। সূত্র জানায়, সকাল ১০.৩০ মিনিটে সুপারসনিক ফাইটার এয়ারক্রাফট সুখোই ৩০ এমকে-আই থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার সংস্করণ পরীক্ষা করা হয়। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) সূত্র জানায়, এই উৎক্ষেপণটি এয়ার-সংস্করণ ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক উৎপাদনের রাস্তা পরিষ্কার করে দিয়েছে। 

এই পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি টিমকে অভিনন্দন জানিয়ে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সচিব এবং ডিআরডিও-র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেন, ডিআরডিও-র বিভিন্ন পরীক্ষাগার, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগ এবং ভারতীয় বায়ু সেনা (IAF) এই কঠিন ও জটিল মিসাইল উৎক্ষেপণের প্রতিটি পর্বে অংশ নিয়েছে। এটা টিম ওয়ার্ক। তাই এই উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই মিশনের সাফল্যে ডিআরডিও, ভারতীয় বায়ুসেনা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রশংসা করেছেন বলে সূত্রের খবর।