সংক্ষিপ্ত

সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার থেকে এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। সোমবারও এই মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়।

সমরাঙ্গনে শক্তিশালী ভারত। লাদাখে অ্যাডভান্সড হেলিকপ্টার থেকে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল হেলিনা এবার যুক্ত হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার থেকে এই মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। সোমবারও এই মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়। ডিআরডিও জানিয়েছে সফলভাবে সেটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। 

এই উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছিল, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা DRDO, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ু সেনা বা IAF।  

হেলিনা অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল

হেলিনা বা হেলিকপ্টার-ভিত্তিক নাগ মিসাইল একটি থার্ড জেনারেশন মিসাইল, এর বৈশিষ্ট্য হল 'লক-অন বিফোর লঞ্চ', ফায়ার-এন্ড-ফোরগেট ক্ষেপণাস্ত্র যা সরাসরি আঘাত মোডের পাশাপাশি টপ অ্যাটাক মোডে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। 

এটি ডিআরডিও-র মিসাইল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস (এমএসএস) ক্লাস্টারের অধীনে হায়দরাবাদের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল) তৈরি করেছে। 
ডিআরডিও জানিয়েছে এই মিসাইলটি সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজ করতে পারবে। এই মিসাইলের ইমেজিং ইনফ্রারেড (IIR) রশ্মি দ্রুত শত্রুর ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে। রাতের অন্ধকারেও সমান দক্ষতায় কাজ করে। 'লঞ্চের আগে লক-অন' মোডে কাজ করা এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ডিআরডিও-এর মতে, এটি বিশ্বের অন্যতম উন্নত ট্যাঙ্ক-বিরোধী অস্ত্র।

এছাড়াও হেলিনা মিসাইল সব ধরণের আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। আকাশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাঙ্ক চিহ্নিত করে ধ্বংস্ব করার ক্ষমতা রাখে এই মিসাউল। নাগ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের হেলিকপ্টার-লঞ্চ করা সংস্করণটির হিট রেঞ্জ সাত থেকে আট কিলোমিটার। এটি ALH-এর অস্ত্রবহনকারী সংস্করণের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে।