সংক্ষিপ্ত
১০ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বায়ু সেনা, আইটিবিপি। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
একের পর এক উদ্বেগের প্রহর কাটছে। এখনও ঝাড়খন্ডের দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় আটকে রয়েছেন ১০ জন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই ১০ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বায়ু সেনা, আইটিবিপি। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় নতুন করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। দেওঘরের ডিসি মঞ্জুনাথ ভজনত্রি বলেছেন সোমবার দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দিতে হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সহ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে ঘটলা এতবড় দুর্ঘটনা, তা নিয়েই প্রশ্ন থাকছে। উল্লেখ্য, রোপওয়ের ট্রলি দুটি পাহাড়ের মাঝে আটকে আছে। চারিদিকে পাহাড়, নিচে একটা খাদ আর মাঝখানে সেই মানুষজন যারা রবিবার ট্রলিতে উঠেছিল। রোপওয়ের ট্রলিগুলি মাটি থেকে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এবং এখনও অনেক মানুষ এই উচ্চতায় আটকা পড়েছে। দুদিন ধরে চলছে উদ্ধার অভিযান।
আরও পড়ুন- দেওঘরে রোপওয়েতে দুই কেবল কারের সংঘর্ষ, মৃত ২, আহত অনেকে
এখনও যারা আটকে রয়েছেন তারা ৪০ ঘন্টা ধরে ওই রোপওয়েতে রয়েছেন উদ্ধারের অপেক্ষায়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সোমবার রোপওয়ে দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে উদ্ধার অভিযান নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন যে এই প্রথম ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, এনডিআরএফ এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এই উদ্ধার অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথ সমন্বয় দল গঠন করেছে।
প্রসঙ্গত, দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে একাধিক রোপওয়ের ধাক্কা লাগে। তার জেরে রোপওয়ে ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ২ মহিলার। পরে উদ্ধারকাজ চলার সময় আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন ৮ জন। এদিকে রোপওয়েতে আটকে পড়েন অন্তত ৪৮ জন। এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সব মিলিয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় তিন জন মারা গিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও আটকে রয়েছেন ২৩ জন। ভারতীয় বায়ু সেনা, ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে দুটি Mi-17 হেলিকপ্টারও মোতায়েন করেছে। এই উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে জেলা প্রশাসনও।
সোমবার উদ্ধারকার্য চলাকালীন আরও এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও উপরে উঠতে না পেরে নিচে পড়ে যান এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্ধারকারী কপ্টার থেকে ফেলা দড়ি হাত থেকে পিছলে এক হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।