সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, যতবার তাঁর দল ক্রোনি ক্যাপিটালিজম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ততবারই এই জাতীয় বিতর্কগুলি দেখা গেছে।
বিদেশ সফরে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের দেশের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে চড়া সুরে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণপত্রগুলিতে 'ভারত প্রেসিডেন্সি' লেখা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হচ্ছে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক মানুষও আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার দেশের মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রতিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
রাহুল গান্ধী এদিন আরও বলেন, যতবার তাঁর দল ক্রোনি ক্যাপিটালিজম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ততবারই এই জাতীয় বিতর্কগুলি দেখা গেছে। এই সপ্তাহের শেষেই জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিশ্ব নেতাদের কাছে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন সেখানেই ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভরত নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্রাসেলসে একটি মিডিয়া কনফারেন্সের ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেন বিরোধী দলের জোটের নাম Indian National Developmental Inclusive Alliance (I.N.D.I.A.) যা ইন্ডিয়া করা হয়েছে। তারপর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছেন। তাই তিনি দেশের নামই পরিবর্তন করে দিতে চান। রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'আমাদের সংবিধানে যে নামগুলি রয়েছে তাতে আমি খুশি। ভারত বা ইন্ডিয়া দুই নামেই আমাদের দেশকে বিশ্ববাসী চেনে। ' রাহুল গান্ধী আরও বলেন, দুই নামেরই এক অর্থ তাঁর কাছে। তাঁর অভিযোগ সরকার বিরোধীদের জোটকে ভয় পেয়েই এই পদক্ষেপ করছে। এগুলি মানুষকে বিভ্রান্ত করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বিরোধী দলগুলি একত্রিয় হয়েই জোটের নাম ঠিক করেছে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীদের বক্তব্য জোটের নামের মাধ্যমেই উঠে আসছে। তিনি আরও বলেন তাঁর মত বিরোধী দলগুলিও নিজেদেরকে ভারতের কণ্ঠস্বর বলে মনে করে। তাই তারা তাদের জোটের নাম ইন্ডিয়া রেখেছে। ইন্ডিয়া শব্দটি এই দেশের মানুষের কাছে খুবই প্রিয় শব্দ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরক্ত হচ্ছেন।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বিরোধী দল বিশেষত তিনি যখনই গৌতম আদানি ও ক্রনি ক্যাপিটালিজমের ইস্যুটি উত্থাপন করেন তখনই প্রধানমন্ত্রী কিছু নাটকীয় নতুন বিভাজনমূলক নীতি নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন আদানিকে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের পরই দেশের নাম পরিবর্তন ইস্যুটিতে নিয়ে আসা হয়। এটা যথেষ্ট আকর্ষণীয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও দেশে থাকা কালীনই আদানি ইস্যুতে রাহুল গান্ধী যৌথ সংসদীয় কমিটি চেয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল আদানিদের পরিবারের সদস্য ও সহযোগীরা মরিশাসে অস্বচ্ছ বিনিয়োগ তহবিলের মাধ্যমে গোপনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।
বেলজিয়াম সফরের পর রাহুল গান্ধীর ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ড যাওয়ার কথা হয়েছে। তিনি নরওয়েতেও যাবেন। রাহুল গান্ধী বলেন, এই সফরের উদ্দেশ্য ইউরোপীয় সাংসদদের সঙ্গে বিশ্বের একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা। ভারতের চ্যালেঞ্জগুলির ওপর আলোচনা করা।