সংক্ষিপ্ত

পণ্যগুলির রপ্তানি বৃদ্ধি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের কৃষকদের উপকৃত করেছে।  ভারত চাল রফতানিতে বিশ্ব বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করেছে।

২০২১-২২ সালের জন্য কৃষি পণ্যের রপ্তানি (সামুদ্রিক এবং বৃক্ষরোপণ পণ্য সহ) ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা কৃষি রপ্তানির জন্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। DGCI&S-এর প্রকাশ করা পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১-২২ সালে কৃষি রপ্তানি ১৯.৯২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫০.২১ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছুঁয়েছে। বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য কারণ ২০২০-২১ সালে অর্জন করা গিয়েছিল ১৭.৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি। 

মোট কৃষি রপ্তানি হয়েছিল ৪১.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মালবাহী পণ্যের উচ্চ হার, কনটেইনার ঘাটতি ইত্যাদি লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অর্জন করা হয়েছে এই বৃদ্ধি। গত দুই বছর ধরে কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নে এই বৃদ্ধি সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

চাল (৯.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), গম (২.২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), চিনি (৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং অন্যান্য শষ্য (১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এর মতো প্রধান খাদ্যের জন্য এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রপ্তানি হার অর্জন করা হয়েছে। গমের রফতানিতে ২৭৩ শতাংশর বেশি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে, ২০২০-২১ সালে ৫৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় চারগুণ লাফিয়ে ২০২১-২২ সালে ২১১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। 

এই পণ্যগুলির রপ্তানি বৃদ্ধি পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের কৃষকদের উপকৃত করেছে।  ভারত চাল রফতানিতে বিশ্ব বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করেছে। সামুদ্রিক পণ্যের রপ্তানি, ৭.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এটিও এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ, যা পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, তামিলনাড়ু, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের উপকূলীয় রাজ্যগুলির কৃষকদের উপকৃত করছে।  মসলা রপ্তানি টানা দ্বিতীয় বছরে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সরবরাহের দিক থেকে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, কফি রপ্তানি প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে, যা কর্ণাটক, কেরালা এবং তামিলনাড়ুর কফি চাষীদের জন্য সুখবর। 

কেন্দ্র এই সাফল্যের বিষয়ে বাণিজ্য বিভাগ এবং এর বিভিন্ন রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থা যেমন APEDA, MPEDA এবং বিভিন্ন পণ্য বোর্ডের কৃতিত্বের কথা জানিয়েছে। বাণিজ্য বিভাগ কৃষি রপ্তানি প্রচারে রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনকে যুক্ত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করেছে। রপ্তানি থেকে কৃষকরা যাতে উপকৃত হয় তা নিশ্চিত করার জন্য, বাণিজ্য বিভাগ সরাসরি কৃষক এবং FPO-কে বাজারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। 

কৃষক, এফপিও/এফপিসি, সমবায়কে রপ্তানিকারকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একটি কৃষক সংযোগ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। এই পদ্ধতির ফলে এখন দেশের নানা এলাকা থেকে কৃষি রপ্তানি হচ্ছে, যা আগে হয়নি। বারাণসী (তাজা সবজি, আম), অনন্তপুর (কলা), নাগপুর (কমলা), লখনউ (আম), থেনি (কলা), সোলাপুর (ডালিম), কৃষ্ণা ও চিত্তুর (আম) ইত্যাদির মতো এলাকা থেকে রপ্তানি হয়েছে। 'হ্যাপি ব্যানানা' ট্রেন, অনন্তপুর থেকে জেএনপিটি, মুম্বাইতে কলা পরিবহনের জন্য রিফার কন্টেইনার সহ একটি এক্সক্লুসিভ ট্রেনের মতো উদ্যোগ রপ্তানি বাড়াতে নেওয়া হয়েছে।