সংক্ষিপ্ত

ছো‌ট থেকে বড় কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুকে কাবু করতে সক্ষম এই কামান। পাহাড়ি বা বরফাবৃত এলাকা হোক বা মরুভূমি, প্রতিটি জায়গায় একই ভাবে শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করবে এই কামান।

ভারতীয় সেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে এবার নতুন সদস্য। সোমবার সেনার হাতে ভারতীয় অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির তরফ থেকে তুলে দেওয়া হয় ধনুষ হাউইতজার। এই অর্টিলারি কামান দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি।

 

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রথন খাতে মোট ১১৪ টি ১৫৫মিমি/৪৫ ক্যালিবারের ধনুষ হাউইতজার সেনার হাতে তুলে দিয়েছে। তবে ভারতীয় সেনা মো‌‌‌‌ট ৪১৪টি ধনুষ পাবে বলে জানা গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। ছো‌ট থেকে বড় কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুকে কাবু করতে সক্ষম এই কামান। পাহাড়ি বা বরফাবৃত এলাকা হোক বা মরুভূমি, প্রতিটি জায়গায় একই ভাবে শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করবে এই কামান।

 

ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে এই মুহূর্তে যা অস্ত্র রয়েছে তাতে অন্যান্য দেশ যুদ্ধ ঘোষণার আগে দুবার ভাববে। ধনুষ হাউইতজারের সংযোজনে সেই ভাণ্ডার আরও উন্নত হলো তা বলাই বাহুল্য। এই কামানটি পুরোপুরি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি। মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের অন্তর্গত ধনুষ ২০১৮ সালে জুন মাসে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়। এই কামানের অন্যতম বিশেষত্ব হল ঠিক নিশানায় পৌঁছে শত্রুকে দমন করা।

 

১৯৮০ সালে ভারতীয় সেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছিল শক্তিশালী কামান বোফর্স। এই কামান বোফর্সের চেয়েও ক্ষমতাশালী বলে জানা গিয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক প্রথম ধনুষের কাঠামো ডিজাইন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। বোফর্সের সঙ্গে প্রাথমিক এই ডিজাইনের যথেষ্ট মিল ছিল।

 

ধনুষ ১১ কিলোমিটারেরও বেশি দূরের নিশানায় শত্রুকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এমনকী অন্ধকারেও একসঙ্গে ৬টি গোলা দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেমন পাহাড়ি এলাকা লে, ওড়িশায় বালিচরে বা রাজস্থানের মরুভূমিতেও এই কামান পরীক্ষামূলক ভাবে চালিয়ে দেখা হয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সফল থেকেছে এই ধনুষ হাউইতজার। তাই বলাই যায়, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের কথা ভাবার আগে অন্য যে কোনও দেশ দুবার ভাববে।