কখনও বিক্ষুব্ধকে জিপের পিছনে বেঁধে ঘোরানো, কখনো দিনভর তল্লাশির নামে চালানো অত্যাচার। ভারতীয় সেনাদের কাশ্মীরে অবস্থানরত ছবিটা আমাদের কাছে অনেকটা এমনই।

কখনও বিক্ষুব্ধকে জিপের পিছনে বেঁধে ঘোরানো, কখনো দিনভর তল্লাশির নামে চালানো অত্যাচার। ভারতীয় সেনাদের কাশ্মীরে অবস্থানরত ছবিটা আমাদের কাছে অনেকটা এমনই। বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরী জনতা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অংশই নিতে চায় না। এর প্রমাণ মিলেছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে। কাশ্মীরিরা ভারতের নির্বাচন থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।সাত দফা ভোটের কোনও দফাতেই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। তবে এবার ফ্রেমে ধরা পড়ল অন্য এক ছবি।
কাশ্মীরের মোট ৭১ জন পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীকে মোট ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার অনুদান দিল ভারতীয় সেনা। অপারেশন সদ্ভাবনা নামক প্রকল্পের আওতায় তিনটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে এই অনুদানের আওতায় আনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অনুদান পেয়ে খুশি ছাত্ররা। 

পহেলগাঁও অঞ্চলের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্র, আবেদ-উল-ইসলাম বলছে, "এই অনুদান পেয়ে আমি খুশি আমি ডাক্তার হয়ে এই ঋণ শোধ করব।" খুশিতে ডগমগে দশম শ্রেণির ছাত্র সোহেল। সে জানাল, সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে চায় পড়াশোনা শেষ করেই।

 প্রসঙ্গত ভারতীয় সেনার এই অনুদান এবছর প্রথম নয়। ১৯৯৮ সাল থেকেই এই উদ্যোগ নিয়ে আসছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রতিবছর এই সদ্ভাবনা প্রকল্প থেকে নানা সামাজিক খাতে ব্যয় করা হয় চল্লিশ কোটি টাকা। এবার অনুদান দেওয়ার জন্যে বেছে নেওয়া হয়েছিল দ্রোনা বয়েস হোস্টেল, আর্মি স্কুল এবং বিজ -এর ছাত্রদের। বেছে নেওয়া হয় অনগ্রসর শ্রেণির ৭১ জন ছাত্রকে। সেনার এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছে প্রতিটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। এইদিন সেনার তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এই স্কুলের প্রাক্তণীদেরও।