সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরে এক ভারতীয় বাক্সেটবল খেলোয়াড়কে খুঁজে বের করল সেনা
- জাতীয় মহিলা হুইল চেয়ার বাস্কেটবল দলের সদস্য ফিরলেন জাতীয় শিবিরে
- ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না দলের কোচের
- ভারতীয় সেনার কাজকে কুর্নিশ গোটা দেশের
নাম ইশরত আখতার। বয়েস ২৪। থাকেন কাশ্মীরের বারামুলা সেক্টরের এক গ্রামে। এই টুকু তথ্য হাতে নিয়েই কাজে নেমেছিল ভারতীয় সেনা। আর ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই ভারতীয় দলের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাঁর দলের বাকিদের যোগাযোগ করিয়ে দিল ভারতীয় সেনার একটি দল। ইশরত আখতার ভারতীয় হুইল চেয়ার বাস্ককেট বল দলের সদস্য। কিন্তু কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তাঁর সঙ্গে দলের কোচ, সহ খেলোয়াড় বা ফেডারেশনের কর্তারা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। কারণ কাশ্মীরে যে টেলি যোগাযোগ বা ইন্টারনেট পরিশেবা বন্ধ। অথচ আগামী নভেম্বর ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে টুর্নামেন্ট। তাঁর প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে চেন্নাইতে। ইশরত দলেও আছেন। থাইল্যান্ডের টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া যেতে পারে ২০২০ টোকিও প্যারালিম্পিকের ছাড়পত্র। কিন্তু ইশরাতের কাছে খবরটা পৌছাবে কি করে। এই চিন্তায় ঘুম ছুটেছিল দলের কোচ লুইস জর্জে।
আরও পড়ুন - টোকিও অলিম্পিকে যাওয়া হচ্ছে না দীপা কর্মকারের, ইঙ্গিত দিলেন কোচ
লুইস জর্জ আবার ছিলেন প্রাক্তন নেভি অফিসার ছিলেন। তিনি নিজের বন্ধু ও আরেক প্রাক্তন সেনা কর্তা ইশেনহাওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। কথা প্রসঙ্গেই তিনি ইশরতের কথা বলেন। সব শুনে ইশেন হাওয়ার ইশরতের ছবি চান কোচ জর্ডের কাছে। ইশেনহাওয়ার নিজের কর্মজীবনে আইবিতেও কাজ করেছেন। সেই সুত্র কাজে লাগিয়ে তিনি যোগাযোগ করেন কাশ্মীরে থাকা সেনা কর্তাদের সঙ্গে। সেনা কর্তারা ইশরতের সম্পর্কে সামান্য তথ্য ও ছবি নিয়েই কাজে নেমে পরেন। প্রথমে যোগাযোগ করা হয় বারামুলার থানার সঙ্গে। তারপর শুরু হয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইশরতের খোঁজ।
আরও পড়ুন - বুকিদের নজরে মহিলা ক্রিকেটে, এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব
২৫ আগস্ট সন্ধের দিকে নিজের বাড়িতে ছিলেন ইশরত, দরজায় আওয়াজ দেন সেনা কর্তারা। দরজা খুলে সেনা দেখে ঘাবরে যান ইশরতের বাবা রশিদ মির। সেনার অফিসাররা ইশরতের বাবার কাছে ছবি দেখিয়ে জানতে চান এটি তাঁর মেয়ে কি না? ভয়ে ভয়ে রশিদ উত্তর দেন ‘হ্যাঁ’। সঙ্গে সঙ্গে সাফল্যের হাসি সেনার মধ্য। সেনার অফিসারার ইশরতের বাবাকে বলেন, ‘ অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনার মেয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছে। ওকে চেন্নাই যেতে হবে জাতীয় দলের শিবিরে।’ আতঙ্ক বদলে যায় উচ্ছ্বাসে। নিজের দলের খেলোয়াড়ের খোঁজ পেয়ে জাতীয় হুইল চেয়ার বাসকেটবলের কোচ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁর বন্ধু ও প্রক্তন সেনা কর্তা ইশেনহাওয়ারকে। ইশরতও খুশি আবার খেলায় ফিরতে পেরে। আগস্ট মাসের সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এলে মঙ্গলবার। আর গোটা কর্ম কান্ডে ভারতীয় সেনার কাজে গর্বিত গোটা দেশে।