সংক্ষিপ্ত

গরুড় প্রকাশনের প্রকাশিত বইটিতে ভারতের বৈজ্ঞানিক ইতিহাস ব্যাখ্যা করার জন্য তথ্য, ধারণা, বর্ণনা এবং তুলনাকে বর্ণনামূলক আকারে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই বইটি জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ২১শে মার্চ বেলা আড়াইটের সময় উন্মোচন করা হয়।

জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি (Jawaharlal Nehru University ) পিএইচডি রিসার্চ স্কলার (PhD research scholar) সবরীশ পি.এ.(Sabareesh P.A.)-এর নতুন বই (New Book)। এই বইতে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় (Indian languages) লেখা বিশাল বৈজ্ঞানিক সাহিত্যের (vast scientific literature) এক প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের অবদান এবং গৌরবময় সাফল্যের একটি মানচিত্র তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে এই বইতে। 

গরুড় প্রকাশনের প্রকাশিত বইটিতে ভারতের বৈজ্ঞানিক ইতিহাস ব্যাখ্যা করার জন্য তথ্য, ধারণা, বর্ণনা এবং তুলনাকে বর্ণনামূলক আকারে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই বইটি জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে ২১শে মার্চ বেলা আড়াইটের সময় উন্মোচন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) এবং জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সন্তিশ্রী ধুলিপুদি পণ্ডিত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। 

সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সায়েন্স পলিসি (সিএসএসপি), স্কুল অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (এসএসএস)-এর লেখক এবং পিএইচডি রিসার্চ স্কলার সবরীশ এই বইটিতে এই প্রচারের বিরোধিতা করেছেন যে পশ্চিমা বিজ্ঞানের বিবর্তন সম্পূর্ণরূপে প্রাচীন গ্রীক ঐতিহ্য বা পাশ্চাত্যের সাথে যুক্ত। আধুনিক সময়ে, প্রাচ্যের বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক ঐতিহ্য, বিশেষ করে ভারতের প্রতি কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই তা গড়ে উঠেছে, এই বিষয়টির প্রবল বিরোধিতা করেছেন লেখক।

লেখক বলেছেন “এই ধারণাটি পর্তুগিজ এবং বিশেষ করে ব্রিটিশদের আবির্ভাবের পর থেকে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতার শুরু থেকে কার্যকরভাবে ভারত ও ভারতীয়দের জাতীয় চেতনায় গেঁথে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় পাওয়া বৈচিত্র্যময় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান — সংস্কৃত, পালি, আরবি, ফার্সি, তামিল, মালায়ালম এবং অন্যান্য অনেক ভাষায় রয়েছে — এগুলিই ভারতের বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রমাণ।”

আরও পড়ুন- মাঝে মধ্যেই উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙছে, জানেন এগুলো কীসের ইঙ্গিত

আরও পড়ুন- জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেয় এই ব্রত, জেনে নিন এই একাদশী পালনের নিয়ম

বইটির প্রথম অংশে ভারতের বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, প্রাচীন ভারতে বিজ্ঞানের অধ্যয়ন, রসায়ন, ধাতুবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, পৃথিবী বিজ্ঞান, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা, কৃষি, প্রাণী বিজ্ঞান প্রসঙ্গে মূল্যবান তথ্য রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বৈদিক উত্তরাধিকারের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে। 

বইটির দ্বিতীয় অংশটি পাঠকদের মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক ভারতে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করে, যার অধ্যায়গুলি স্বাধীন ভারতে বিজ্ঞান; আত্মনির্ভর ভারত: প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতার জন্য ভারতের অন্বেষণের ওপর গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে মধ্যযুগীয় এবং ব্রিটিশ ভারতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রচেষ্টার উল্লেখও।