সংক্ষিপ্ত

ফিকি ২০২২ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯.১ শতাংশে রেখেছে। ফিকির দাবি দেশের শিল্প ও সেবা খাতে যথাক্রমে ১২.৯ শতাংশ এবং ৮.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

শিল্প সংস্থা ফিকি (FICCI survey) ২০২২ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির (Indian economy) বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯.১ শতাংশে (more then Nine percent) রেখেছে। ফিকির দাবি দেশের শিল্প ও সেবা খাতে যথাক্রমে ১২.৯ শতাংশ এবং ৮.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফিকি আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিককালে করোনার প্রকোপ কম হওয়ায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেই চাহিদা বেড়েছে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির বৃদ্ধিতে। 

উদারীকরণের ৩০ বছরের মধ্যে, ভারতের অর্থনীতি আকারে বেড়েছে প্রায় ৯গুণ। এই আধুনিক, মুক্ত বাজারে ভারতীয় উপভোক্তাদের প্রজন্ম ধীরে ধীরে দেশের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। যা অর্থনীতির অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সমীক্ষা বলছে ভারত আগামী দিনে ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি রূপায়িত করার ক্ষেত্রেও মুখ্যভূমিকা গ্রহণ করেবে। 

ফিকি তার সর্বশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষাতে বলেছে, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের পর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হ্রাসের গতি শ্লথ হওয়া, অর্থনীতির স্থিতিশীল অবস্থার মাপকাঠিগুলো আশা জাগাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে আসন্ন উত্সবের মরশুম এর গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তবে ফিকি জানাচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি যদি সামলে চলতে পারে দেশ, তবেই এটা সম্ভব। কারণ এই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে আসন্ন উৎসব মরশুমে। 

কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট খাতের জন্য মাঝারি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ৩.২ শতাংশ বৃদ্ধি অনুমান করা হয়েছে। তবে বর্ষা মরসুমের শেষে যদি বৃষ্টির হার বাড়ে, তখন খরিফ শষ্যের ফলন ভালো হতে পারে ও কৃষি খাতে আরও বেশি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। শিল্প ও সেবা খাতে যথাক্রমে ১২.৯ শতাংশ ও ৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। 

২০২১ সালে ২৭টি ইউনিকর্ন আর ২০ বিলিয়নের তহবিল দেখেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি কেবলমাত্র স্টার্টআপ নয় সরকারি পিএলআই স্কিমেও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়ারের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি আগামী ৪ বছরে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও নিয়েছে।