সংক্ষিপ্ত

  • ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে
  • দেশের ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল সংক্রমণের শিকার
  • এখনও সংক্রমণ ছড়ায়নি দেশের বেশ কয়েকটি  অঞ্চলে
  • এক নজরে দেখে নিন দেশের করোনা মুক্ত এলাকাগুলি 
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০,৫৪১। মারা গিয়েছেন ৩৫৮ জন। এই পরিস্থিতিতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৫ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন দ্বিতীয় দফার এই লকডাউন চলবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। নতুন এলাকাগুলিতে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেকথা বার বার বলছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর মধ্যেও  আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ভারতের এখনও বেশকিছু এলাকা এখনও করোনার প্রভাব মুক্ত বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশের ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও ভারতের মূল ভূখণ্ডের বাইরে লাক্ষাদ্বীপ মারনভাইরাসটির সংক্রমণের কোনও খবর নেই। ভারতী ভূখণ্ডের মধ্যে থেকে আরও দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল  দাদারা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতেও মেলেনি কোনও সংক্রমণের খবর। 


করোনা যুদ্ধে অস্ত্র হোক গামছা, দেশবাসীকে পাঠ পড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
করোনা যুদ্ধে নতুন গাইডলাইন আনছে কেন্দ্র, মারণ ভাইরাসকে হারাতে দেশবাসীকে ৭টি বান দিলেন মোদী
এক মাসের মধ্যে প্রাণ গেল ১০ হাজারের, গোড়ায় ঢিলেমির মাসুল গুনছে অহঙ্কারী নিউ ইয়র্ক

অন্যদিকে ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র সিকিমেই করোনা সংক্রমণের কোনও কেস নেই। এন্যদিকে উত্তর-পূর্বের ৪ রাজ্য মেঘালয়, মিজারম , নাগাল্যান্জ এবং অরুণাচল প্রদেশে মাত্র একটি করে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। যেভাবে এই রাজ্যগুলি করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে তাতে প্রশংসা করছে স্বয়ং কেন্দ্রও।

তবে এসবের মধ্যে রাজধানী দিল্লি ও দেশের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বইয়ের পরিস্থিতি ক্রমেই কপালে চিন্তার ভাজ  চওড়া করছে। মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ২৪৫৫ তে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে এই রাজ্যেই। মঙ্গলবার নতুন করে মুম্বইতে ৯২ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৬ জন আবার মুম্বইতে করোনার হটস্পট ধারাভি বস্তির বাসিন্দা। এদিকে মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১২১ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন নভি মুম্বইয়ের বাসিন্দা, ১০ জন থানে এবং ৫ জন পালঘরের বাসিন্দা। এদিকে রাজধানী দিল্লিতেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩৫৬ জন। ফলে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫১০ জন।