সংক্ষিপ্ত
ভারতের বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা পাওয়া যায়। এইবার ট্রেনেও মিলবে এই পরিষেবা। কেন্দ্রীয় সরকার সেই রকম পরিকল্পনাই করছে। এই কারণে বেসরকারি সাহায্য় নিলেও রেল বেসরকারি হাতে যাবে না।
বর্তমানে ভারতের বেশ কয়েকটি বড় রেল স্টেশনে বিনামূল্য়ে ওয়াইফাই পরিষেবা পেয়ে থাকেন যাত্রীরা। কিন্তু এইবার একেবারে যাত্রাপথের পুরো সময়টাতেই যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এদিন তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রয় সরকারে পক্ষ থেকে সব ট্রেনে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি রূপায়ণে চার থেকে সাড়ে চার বছর সময় লাগে।
এদিন রেলমন্ত্রী আরও জানান, চলন্ত ট্রেনে ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়াটা বেশ কঠিন কাজ। জটিল প্রযুক্তির প্রয়োজন, বড় লগ্নির প্রয়োজন। বিভিন্ন জায়গায় টাওয়ার বসাতে হবে, ট্রেনেও সিগনাল ধরার মতো যন্ত্রাদি বসাতে হবে।
চলন্ত ট্রেনে ওয়াইফাই চালু হলে যাত্রীদের নিরাপত্তাও জোরদার হবে বলে দাবি করেছেন পীযূষ গয়াল। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন কামড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে, সেই ক্যামেরা থেকে লাইভ ফুটেজ সরাসরি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছে যাবে। সিগনালিং ব্যবস্থারও আরও উন্নতি হবে।
তবে এর জন্য বিদেশি প্রযুক্তি ও বিদেশি লগ্নি লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কি ধীরে ধীরে ভারতীয় রেলও বেসরকারি হাতে তুলে দেবে সরকার? এদিন কিন্তু রেলমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, রেল বেসরকারিকরণ হবে না। তবে বেসরকারি লগ্নির পথে হাঁটা হবে। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন রেল স্টেশন ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলির আধুনিকিকরণের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এনবিসিসি সংস্থা ১২-১৩টি স্টেশনে এই কাজ শুরু করে দিয়েছে।