সংক্ষিপ্ত
সিরিয়া থেকে উদ্ধার করে আনা চারজন ভারতীয় শনিবার দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। তারা জানিয়েছেন সিরিয়ায় পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়ে উঠেছিল। একজন বলেন, "আমি ১৫-২০ দিন আগে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা জানতাম না এমন হবে। ভারতের দূতাবাস আমাদের বের করে আনে। আমাদের প্রথমে বাসে করে লেবাননে নিয়ে যাওয়া হয়। সিরিয়া থেকে বিমান উড়ছিল না। লেবানন থেকে বিমানে চেপে আমরা গোয়ায় আসি। এরপর আজ দিল্লিতে এসেছি। আমরা খুশি যে আমরা সুস্থভাবে নিজের দেশে ফিরে আসতে পেরেছি। ভারতীয় দূতাবাস আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।"
সিরিয়া থেকে আসা আরেকজন ভারতীয় বলেন, “গত ৪ মাস ধরে আমরা সিরিয়ায় কাজ করছিলাম। একদিন আমি প্ল্যান্টে কাজ করছিলাম, হঠাৎ দু-তিনটি রকেট দেখতে পাই। আমরা দূতাবাসকে জানাই। তারা বললো দামেস্কে (সিরিয়ার রাজধানী) চলে আসতে। সেখান থেকে আমাদের বেইরুটর নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু'দিন টিকিট নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। দু'দিন পর আমাদের টিকিট বেইরুট থেকে দোহার জন্য বুক করা হল। তারপর আমাদের টিকিট দোহা থেকে কাতার এবং দোহা থেকে নয়াদিল্লির জন্য বুক করা হল। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। আমরা প্রতিদিন রকেট বিস্ফোরণ এবং গুলির শব্দ শুনতাম। খাওয়া থেকে থাকা, দূতাবাস আমাদের সব সুবিধা দিয়েছে। এমনকি তারা আমাদের জন্য টিকিট বুক করে দিয়েছে। আমি দূতাবাস এবং ভারত সরকারকে এর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
প্রথমবার রকেট এবং গুলির শব্দ শুনে ভয় পেয়েছিলাম
আরেকজন ভারতীয় নাগরিক বলেন, "আমি ভারতীয় দূতাবাস, ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমরা সেখানে ভয় পেয়েছিলাম। আমরা প্রথমবার রকেট এবং গুলির শব্দ শুনেছিলাম। আমি ভারতে ফিরে আসতে পেরে খুব খুশি।"
তিনি বলেন, "আমাদের দূতাবাস থেকে ফোন আসে। তারা বললো সিরিয়া ছেড়ে চলে যেতে। আমরা বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনছিলাম। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই গুরুতর ছিল। দূতাবাস আমাদের ডেকে বেইরুট পৌঁছে দেয়। এর দু-তিন দিন পর আমরা দিল্লিতে চলে আসি। এই সাহায্যের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ।"
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল যে এখন পর্যন্ত সিরিয়া থেকে ৭৭ জন ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উপস্থিত ভারতের দূতাবাস সেখানে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। প্রয়োজন পড়লে সাহায্য করা হবে। অন্য কোনো দেশ থেকে এখনো উদ্ধারের প্রয়োজন নেই।