সংক্ষিপ্ত
একদিকে যখন ইউক্রেনের পরিস্থিতি এতটা কঠিন, সেই সসময় প্রতীকের হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করলেন লিউবভ। মল্লিকার্জুন রাও এবং পদ্মজার ছেলে প্রতীক। হায়দরাবাদেই তাঁদের রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল।
যুদ্ধে ছারখার অবস্থা ইউক্রেনের (Ukraine)। খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ওই দেশকে। কখন কী হয় তা কেউই বলতে পারে না। রুশ সেনার (Russian Army) হামলার দাপটে একাধিক এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আর সেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত পরিস্থিতিকে পিছনে ফেলে ভারতে (India) এসে নতুন জীবন শুরু করলেন লিউবভ (Lyubov)। আশীর্বাদ নেন চিলকুর বালাজি (Chilkur Balaji Temple) মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সিএস রঙ্গরাজনের (CS Rangarajan) থেকে। তাঁদের নতুন জীবন যাতে সুখের হয় সেই প্রার্থনা করেছেন মন্দিরের পুরোহিত। এছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার (Russia) যুদ্ধ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় সেই প্রার্থনাও করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সংঘাত (Ukraine-Russia Crisis) চলছে বহু দিন ধরেই। তবে ইউক্রেনের উপর রাশিয়া যে হামলা করতে পারে সেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল কয়েকদিন আগেই। তারপরই ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ইউক্রেনে সেনা অভিযান (Army Operation) শুরু করার কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আর সেই ঘোষণার পরই ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে শুরু করে রুশ সেনা। তার জেরে ওই দেশের অবস্থা কার্যত ছারখার। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনে লিউবভের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন হায়দরাবাদের (Hyderabad) বাসিন্দা প্রতীক। বিয়ের পরই দেশে ফিরে রিসেপশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রতীক। সেই মতো যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন তিনি। আর ঠিক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই হায়দরাবাদে পৌঁছান তাঁরা।
আরও পড়ুন- বেলারুশে পৌঁছল ইউক্রেনের বিশেষ টিম, সংঘাত কি তাহলে শেষের পথে
একদিকে যখন ইউক্রেনের পরিস্থিতি এতটা কঠিন, সেই সসময় প্রতীকের হাত ধরে নতুন জীবন শুরু করলেন লিউবভ। মল্লিকার্জুন রাও এবং পদ্মজার ছেলে প্রতীক। হায়দরাবাদেই তাঁদের রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিলকুর বালাজি মন্দিরের প্রধান পুরোহিতও। নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করেন তিনি। এদিকে ছেলের রিসেপশনে প্রধান পুরোহিত আসায় খুশি রাও দম্পতি।
আরও পড়ুন- রুশ সেনার হাতে জ্বলল ইউক্রেনের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমান
সিএস রঙ্গরাজন বলেন, "নব দম্পতির জীবন সুখের হোক সেই প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি একদিকে যখন করোনা দাপটে গোটা বিশ্ব জর্জরিত, করোনার সঙ্গে লড়াই যেখানে এখনও পর্যন্ত শেষ হয়নি, সেখানে রাশিয়ার এই যুদ্ধে শুধু রক্তপাত হচ্ছে। এই যুদ্ধ যাতে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় সেই প্রার্থনা করি।"
এছাড়া এই যুদ্ধ যাতে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় তার জন্য কয়েকজন ভক্তর সঙ্গে মন্দিরে প্রার্থনা করেন। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন শেষ হয়ে যাতে শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় সেই প্রার্থনা করেন তাঁরা।