সংক্ষিপ্ত
২০২৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই মোদীর মুখে শোনা গিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এক লাখ নতুন মুখ আনার কথা। তিনি বলেছিলেন, মেধা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে নতুন নেতা তৈরি করার কথা।
লিডার তৈরি করতে গড়া হচ্ছে স্কুল। রাজনীতি, সমাজনীতি ও জননীতি নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যৎ নেতা গড়ার পরিকল্পনা। এটিই দেশের প্রথম নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠান হতে চলেছে, যা বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হবে । জানা গেছে, এটি নরেন্দ্র মোদীর নিজস্ব চিন্তা ভাবনা মধ্যে ছিল এমন পরিকল্পনা। স্কুল অব আলটিমেট লিডারশিপ (SOUL) তৈরি হতে চলেছে গুজরাতে। ।জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের ভারতের প্রাক্তন অর্থসচিব হসমুখ আধিয়া নিযুক্ত হয়েছেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে । তিনি বর্তমানে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের প্রধান উপদেষ্টা। নয়াদিল্লিতে SOUL নেতৃত্ব সম্মেলন-এর উদ্বোধন পর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করবে ২০২৭ সালের মার্চ থেকে, এমনটাই জানা গেছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শিল্পপতি যুক্ত রয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি অনুদান, ট্রাস্ট ও কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (CSR) ফান্ডিং-এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হবে বলেই জানা যায়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টরেন্ট পাওয়ার, ডিএসপি ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার, এইচডিএফসি ব্যাংক, জেএসডব্লিউ ফাউন্ডেশন, কেএফ ট্রাস্ট, সান ফার্মা এবং জায়ডাস লাইফসায়েন্সেস-র মতো হেভিওয়েট শিল্পসংস্থার পক্ষ থেকে ।
২০২৪ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই মোদীর মুখে শোনা গিয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় এক লাখ নতুন মুখ আনার কথা। তিনি বলেছিলেন, মেধা ও নিষ্ঠার ভিত্তিতে নতুন নেতা তৈরি করার কথা। কিন্তু ২০২০ সালে গৃহীত হয় SOUL-এর পরিকল্পনা । ২২ একর জমির উপর এর ক্যাম্পাস তৈরি হবে। গুজরাত গিফ্ট সিটি রোডে বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটির কাছে। এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকার । বেসরকারি উদ্যোগে এই সংস্থা স্বাধীনভাবে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই আগামীদিনে যোগ্যতা ও জনসেবার মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা নেতৃত্ব দিতে উঠে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। শুরুতে কম সময়ের জন্য ওয়ার্কশপ ও সেমিনার পরিচালনার চিন্তা থাকলেও পরবর্তীতে ৯ থেকে ১২ মাস মেয়াদি বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সও চালু করবে এই প্রতিষ্ঠান।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।