সংক্ষিপ্ত
রবিবার রাচীর জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ স্থানীনকেই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ একই কারণে বন্ধ হয়নি।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গকেই টার্গেট করলেন বিজেপির নম্বর টু অমিত শাহ। সম্প্রতি বাংলায় সরকারি অনুষ্ঠানে এসে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন অমিত শাহ। এবারও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচী জনসভা করেন অমিত শাহ। অমিত শাহ দাবি করেন বাংলাদেশ থেকে সামীন্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকার। তিন্তু স্থনীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকার এই বিষয়ে উদাসীন। আর সেই কারণেই অনুপ্রবেশ সমস্যা বেড়েই চলছে।
রবিবার রাচীর জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ স্থানীনকেই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ একই কারণে বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশসনের সায় রয়েছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে। ঝাড়খণ্ড ও বাংলায় রয়েছে।'ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদী নালা রয়েছে। কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। কিব্তু আমি হেমন্তবাবুকে জিজ্ঞাসা করতে চাই ঝাড়খণ্ডে যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢোকেন, আপনারা ভূমিরাজস্ব দফতর তখন কী করে? জেলাশাসকরাই বা কী করছেন, পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানান হচ্ছে না?'
শুধু অনুপ্রবেশ নয়, অমিত শাহ ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সমস্যা নিয়ে হেমন্ত সোরেন সরকারকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, 'সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কারণ অনুপ্রবেশকরারীরা আমাদের মেয়েদের প্রলুব্ধ করে তাদের বিয়ে করছে।' তিনি আরও বলেন, হেমন্ত সোরেনের আমলে ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীর নিরাপদে ছিল না। সাঁওতাল পরগনার আদিবাসীর সংখ্যা ক্রমাগত করমে। অনুপ্রবেশকারীরা প্রলুব্ধ করেছে। তাদের বিয়ে করছে। জমি দখল করছে। যদি এটা বন্ধ না করা হয় তাহলে আর এদের রোখা যাবে না। ঝাড়খণ্ডের সাংস্কৃতি, এখানের চাকরি, জমি বা মেয়েরা কেউই নিরাপদে থাকতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, বিজেপি এই বিধানসভা নির্বাচনে 'রোটি, বেটি মাটির স্লোগান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।' তিনি আরও বলেন ,এখানে বিজেপি সরকার গঠন করলে বদলে যাবে পরিস্থিতি। অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।