সংক্ষিপ্ত

মনমোহন সিং-এর শেষকৃত্যের স্থান নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চপানউতোর শুরু হয়েছে। নিগমঘাট শ্মশানে মনোমহনের শেষকৃত্য নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কংগ্রেসের।

 

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনোমহন সিং-এর স্মৃতিসৌধ নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত। শনিবার তা আরও চরম আকার নেয়। কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং ইস্যুতে আবারও কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, গোটা ঘটনা 'সম্পূর্ণ অপমান'। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্রে সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন।

মনমোহন সিং-এর শেষকৃত্যের স্থান নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে চপানউতোর শুরু হয়েছে। নিগমঘাট শ্মশানে মনোমহনের শেষকৃত্য নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেস বলেছে, আগে দেশের কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য এই শ্মশানে হয়েছে কি? কংগ্রেসের দাবি ছিল, যমুনার তীরে রাজঘাটের আশপাশের কোনও জমিতে মনমোহনের শেষকৃত্য হোক, যেখানে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, অটলবিহারী বাজপেয়ীদের স্মৃতিসৌধ রয়েছে। নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্য হলেও ওই স্থান স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উপযুক্ত নয় বলে দাবি করে তারা।

কিন্তু কেন্দ্র অন্য কোনও স্থানের কথা বলেনি। তাই নিয়েই এদিন রাহুল গান্দী বলেন, 'এখনও পর্যন্ত দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্যু তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট স্মৃতিসৌধ বা অন্ত্যেষ্টিস্থলে হলেও মনমোহনের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। মনমোহনের জন্য নির্দিষ্ট সমাধিস্থলে শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে প্রতিটি মানুষ বিনা বাধায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারতেন। ' রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখান, 'মনমোহন সিংহ সর্বোচ্চ সম্মান এবং নির্দিষ্ট সমাধিস্থল পাওয়ার যোগ্য। সরকার দেশের এই মহান সন্তানকে সেই সম্মান দেখাতে পারত।'

স্মৃতিসৌধ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই শুক্রবার রাতে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিসৌধের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হবে। তবে তার আগে ওঁর শেষকৃত্য এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হোক। কারণ, এ ব্যাপারে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা দরকার। সেই ট্রাস্টকে জায়গা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।