সংক্ষিপ্ত
শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় সিআর কেশবনের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রিটুইট করে লিখেছেন, বাবা যখন মারা গেলেন, কংগ্রেস তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি।
ভারতের দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনোমহন সিং। তাঁর মৃত্যুর পরই কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে জায়গা চেয়েছিল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারও বেশকিছুটা টালবাহানা করে তাতে সবুজ সংকেত দিয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা। তিনিও প্রাক্তন সাংসদ। যদিও বর্তমানে কংগ্রেসের থেকে কিছুটা হলেও দূরত্ব বাড়িয়েছেন। যাইহোক প্রণব কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় সিআর কেশবনের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রিটুইট করে লিখেছেন, 'বাবা যখন মারা গেলেন, কংগ্রেস তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি। একজন প্রবীণ নেতা বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন বলেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই কাজ করা সম্ভব নয়।' তবে এখানেই শর্মিষ্ঠা থেমে থাকেননি। তিনি আরও বলেছেন, তিনি তাঁর বাবার ডায়েরি থেকেই জেনেছেন, কেআর নারায়ণের মৃত্যুতেও কংগ্রেসের পক্ষে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। শোক বার্তাটি তৈরি করেছিলেন তাঁর বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায়। সিআর কেশবন বর্তমানে বিজেপি নেতা। তিনি আবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজাগোপালাচারীর নাতি। তিনি টুইটে কংগ্রেসের পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ২০০৪ সালে কংগ্রেসের আমলে মারা দিয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাও। কিন্তু কংগ্রেস সেই সময় একটিও স্মৃতিসৌধ তৈরি করেনি। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিভি নরসীমা রাওয়ের জন্য একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন। তাঁকে ভরতরত্ন দিয়েও সম্মানিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, নরসীমান রাওয়ের শেষকৃত্য কংগ্রেসের উদ্যোগেই দিল্লির পরিবর্তে তাঁর বাড়ি হায়দরাবাদে করা হয়েছে। মৃতদেহও কংগ্রেসের সদরদফতরে রাখা হয়নি।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ গান্ধী পরিবারের সদস্যরা ছাড়া কেউ কংগ্রেসে যোগ্য সম্মান পান না। বিজেপি প্রায়ই এই অভিযোগে সরব হয়। অন্যদিকে প্রণব মুখোপাধ্যায়ও কংগ্রেসে যোগ্য সম্মান পাননি বলেও কয়েক দিন ধরেই সরব হয়েছেন তাঁর কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তিনি সরাসরি গান্ধী পরিবারকেই নিশানা করেছেন। কংগ্রেসের একাংশের দাবি ২০০৪ সালে সনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতে অস্বীকার করেছিলেন। সেই সময় অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেস নেতাও একরকম প্রায় নিশ্চিত ছিলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। কিন্তু রাতারাতি সনিয়ে প্রধানমন্ত্রী করেন মনমোহন সিংকে। তারপর থেকেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রণবকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু প্রণব মুখোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি করেও সেই ক্ষত সারাতে পারেনি সোনিয়া রাহুলরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।