সংক্ষিপ্ত

  • চন্দ্রযান-২ এর পরে আর এক নজিরে গড়ল ইসরো
  • বাণিজ্যিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইসরো-র আয় ৬০০০ কোটি টাকা
  • এই বিরল কৃতিত্বের দাবীদার ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশন   
  • ক্রমবর্ধমান মহাকাশ বাজারকে দখল করাই মূল লক্ষ ভারতের
     

স্বল্প খরচ এবং দেশীয় প্রযুক্তির মেলবন্ধনে মহাকাশে চন্দ্রযান পাঠিয়ে ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ইসরো। এহেন সংস্থার মাথায় উঠল আর একটি পালক। বুধবার  সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় বিগত তিন বছরে কেবলমাত্র বাণিজ্যিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইসরো প্রায় ৬,২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে। যা এক কথায় নজিরবিহীন। এই বিরল কৃতিত্বের দাবীদার ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশন।
   
বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই  মহাকাশ মন্ত্রণালয় বা ডিরেক্টরেট অফ স্পেসের অধীনে  নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড বলে একটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছে। এই সংস্থাটির মূল লক্ষ হবে ইসরোর গবেষণাগুলি থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া। ইসরোর বিবিধ রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট মূলক প্রকল্পের  বাণিজ্যিকিকরণও এই সংস্থাটির অন্যতম প্রধান কাজ হবে বলে জানান জিতেন্দ্র সিং।
  
লোকসভায় তিনি আরও জানিয়েছেন, যে প্রতিমুহূর্তে নতুন নতুন দেশ এবং সংস্থা মহাকাশ দৌড়ে অংশগ্রহণ করছে। ভারতের লক্ষ আগামী দিনে এই ক্রমবর্ধমান বাজারের দখল নেওয়া। সেই লক্ষের বাস্তবায়নের জন্যই নিউ স্পেস ইন্ডিয়ার মতন সংস্থার জন্ম দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ৬ই মার্চ প্রতিষ্ঠা হয় নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সংক্ষেপে এনএসআইএল। ২০১৬ সাল থেকে এখনও অবধি বাণিজ্যিক ভাবে অ্যান্ট্রিক্স কর্পোরেশন মোট ২৩৯ টি স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করেছে এবং তার থেকে মোট  ৬২৮৯.০৫ কোটি টাকা জমা হয়েছে ইসরোর ভাঁড়ারে। 

চন্দ্রযান -২ শুধুমাত্র মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেই যে নতুন দিশা দেখিয়েছে তা নয়, এর মাধ্যমে ইসরো প্রমাণ করে দিয়েছে স্বল্প খরচে একটি উন্নয়নশীল দেশও মহাকাশ অভিযান করতে পারে। এর ফলে আগামী দিনে বহু সংস্থা এবং দেশ  নাসা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাকাশ সংস্থার বদলে ভারতের ইসরোকেই বেছে নেবে তাদের হয়ে উৎক্ষেপণ করার জন্য তা বলাই বাহুল্য। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এখন থেকে কোমর বেঁধে নামতে চাইছে ভারত সরকার।