সংক্ষিপ্ত

চন্দ্রযান ৩ যথেষ্ট নিরাপদ আর স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে চাঁদের দিকে। জানিয়েছে ইসরো।

 

ইসরো জানিয়েছে মহাকাশে চন্দ্রযান ৩ যথেষ্ট নিরাপদ আর স্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। স্বাচ্ছন্দ্যে আর নিজের গতিতেই চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবারই চন্দ্রযান-৩এর সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল। তার একদিন পরেই এই তথ্য দিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

ইরসো জানিয়েছে, মহাকাশযানের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক। ISTRAC/ISRO, বেঙ্গালুরুতে প্রথম কক্ষপথ-উত্থাপন কৌশল (আর্থবাউন্ড ফায়ারিং-১) সফলভাবে সম্পাদিত হয়েছিল। মহাকাশযানটি এখন ৪১৭৬ কিমি এক্স ১৭৩ কিলোমিটার কক্ষপথে রয়েছে। ভারতের এই মহাকাশযানটি দুটি মহাকাশীয় বস্তুর মধ্যে প্রায় ৩৮৪০০০ কিলোমিটার জুড়ে চাঁদে তার গতিপথ শুরু করার আগে পৃথিবীর চারপাশে লুক করে কয়েকটি কক্ষপথে উত্থাপনের কৌশলের মধ্যে দিয়ে যায়। ভারতের এই মুন মিশনের খরচ প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা। ইসরো আরও জানিয়েছে, উৎক্ষেপণেক মাত্র ৯০০ সেকেন্ডের মধ্যেই মহাকাশযান LVM-3 থেকে আলাদা হয়ে যায়।একবার মহাকাশযানটি চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্রে প্রবেশ করলে, এটি ধীরে ধীরে তার উচ্চতা কমাতে এবং চাঁদের চারপাশে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রবেশ করার জন্য গতি কমিয়ে ফেলবে।

জাতীয় মহাকাশ সংস্থা টুইট করে আগেই জানিয়েছিল মিশনটি সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য যা যা পরীক্ষার প্রয়োজন ছিল সব কিছুই করা হয়েছে। লঞ্চ ভেইকেল মার্ক ৩ থেকে উৎক্ষেপন করবে। এটি একখনও পর্যন্ত ভারতের সবথেকে বড় রকেট। ইসরোর মতে প্রোপেলন্টা মডিউল ল্যান্ডার ও রোভারকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চন্দ্র কক্ষপথে নিয়ে যাবে। এতে চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর মেরু পরিমাম করার জন্য একটি স্পেকট্রো পোলারিমেট্রি পোলেডও যুক্ত করা হয়েছে। পৃথীবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া যাবে চন্দ্রযান ৩কে। ভারতের চন্দ্র - অভিযান আজ আরও একবার নতুন মাত্রা পেল। নির্ধারিত সময়ই স্বয়ংক্রিয় উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কম্পিউটার কমান্ড গ্রহণ করেছে। চন্দ্রযান-৩ যাত্রা শুরু করার নির্ঘারিত সময় ছিল দুপুর ২টো ৩৫। এদিন শ্রীহরিকোটায় প্রচুর মানুষ ঐতিহাসের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি মুন- মিশনেরও প্রধান।

২০১৯ সালেও ভারত চন্দ্রযান ২ পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেবার চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে ব্যার্থ হয়। চাঁদে অবতরণের আগেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। অতীতের ভুলত্রুটি এবার শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত। আগের অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই এবার ভারত কোনও অরবিটর পাঠাচ্ছে না। আগের বারের অরবিটরটির সাহায্য নেবে ল্যান্ডার আর রোভার।