দৈনিক ভাস্করের ৩২টি অফিসে আয়কর হানা। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালালেন পত্রিকার মুম্বই, দিল্লি, ভোপাল, ইন্দোর, জয়পুর, কোরবা, নয়ডা ও আহমেদাবাদের অফিসে। 

এবার খাঁড়া নেমে এল দৈনিক ভাস্কর সংবাদমাধ্যমের ওপর। দৈনিক ভাস্করের ৩২টি অফিসে আয়কর হানা। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালালেন পত্রিকার মুম্বই, দিল্লি, ভোপাল, ইন্দোর, জয়পুর, কোরবা, নয়ডা ও আহমেদাবাদের অফিসে। 

এই গ্রুপটি বিভিন্ন খাতের সাথে জড়িত, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া, বিদ্যুৎ, টেক্সটাইলস এবং রিয়েল এস্টেট। এই গ্রুপের বার্ষিক টার্ণওভার ৬০০০ কোটি। গ্রুপটিতে হোল্ডিং ও সহায়ক সংস্থাগুলি সহ ১০০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে।
 তবে তল্লাশির পর চুপ করে বসে থাকেনি এই সংবাদ মাধ্যম। করোনাকালে সরকার-বিরোধী খবর প্রকাশের শাস্তি। এভাবেই সংস্থার ওয়েবসাইটে সুর চড়িয়েছে দৈনিক ভাস্কর। 

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ‘সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যমের ওপর আঘাত ঘুরিয়ে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার কতটা ব্যর্থ, সেই খবর সাহসের সঙ্গে ছাপিয়েছে দৈনিক ভাস্কর।’

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…

তবে এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে সরকারি কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। যদিও আয়কর দফতরের একটি সূত্র তল্লাশির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সংবাদগোষ্ঠী সূত্রে খবর তল্লাশি চালানোর সময় প্রত্যেক কর্মীর থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। প্রত্যেক কর্মীকে নজরবন্দিও করা হয়। কোনও কর্মীকেই অফিসের বাইরে বেরোতে দেওয়া হয়নি। 

এই গোষ্ঠীর মূল কোম্পানি হল ডিবি কর্প লিমিটেড। যার অধীনে রয়েছে নিউজ ডেইলি, দৈনিক ভাস্কর। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উত্পাদন ব্যবসা মেসার্স ডিবি পাওয়ার লিমিটেড। এই গোষ্ঠীর প্রধান ব্যক্তিরা হলেন তিন ভাই; সুধীর আগরওয়াল, পবন আগরওয়াল এবং গিরিশ আগরওয়াল।