সংক্ষিপ্ত

মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছে ভারতীয় সেনার ইয়েতি-র পায়ের ছাপ দেখার দাবি উড়িয়ে দিয়ে নেপাল। নেপাল-তিব্বত সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা, নিরাপত্তা রক্ষী ও নেপাল সেনা আধিকারিকরা পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন।

তুষারাবৃত পথে সারি দিয়ে চলে গিয়েছে অতিকায় পায়ের ছাপ। ভারতীয় সেনা সেই পায়ের ছাপ কাল্পনিক প্রাণী ইয়েতির দাবি করতেই নেট দুনিয়ায় ঝড় উঠেছিল। যে ইয়েতি-র কথা শুধুই গল্পে ধরা ছিল, তার কি এবার সত্যি দেখা পাওয়া যাবে। আর ভারতীয় সেনা এই ছবি প্রকাশ করায় বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বেশি ছিল। কিন্তু এই সমস্ত আশায় জল ঢেলে  দিল নেপাল। 

মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছে ভারতীয় সেনার ইয়েতি-র পায়ের ছাপ দেখার দাবি উড়িয়ে দিয়ে নেপাল। নেপাল-তিব্বত সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা, নিরাপত্তা রক্ষী ও নেপাল সেনা আধিকারিকরা পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন এই পায়ের ছাপ আসলে জংলি ভালুকের। প্রায়ই এই এলাকায় এই ধরনের পায়ের ছাপের দেখা মেলে। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে নেপাল সেনার মুখপাত্র বিজ্ঞান দেব পাণ্ডে জানান, ‘‘ভারতীয় সেনার একটি দস এই পায়ের ছাপগুলি দেখে। আমাদের সেনার একটি দলও  তাদের সঙ্গে ছিল। আমরা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখি। স্থানীয়রা জানায়, এই পায়ের ছাপ আসলে জংলি ভালুকের। এই এলাকায় সেই ভালুক প্রায়ই আসে।’’

মাকালু ক্যাম্পের কাছে বরফের উপর পায়ের ছাপ দেখে গত মঙ্গলবার  একটি টুইট করে ভারতীয় সেনা। তারা দাবি করে এই পায়ের ছাপ ইয়েতির। বেশ কয়েকটি ছবিও  পোস্ট করে ভারতীয় সেনা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বরফের উপর সারি দেওয়া পায়ের ছাপ, ঠিক যেন কেউ হেঁটে গিয়েছে। সেই পায়ের ছাপের মাপ লম্বায় 31ইঞ্চি ও চওড়ায় 15 ইঞ্চি। প্রত্য়েকটা পায়ের ছাপ অনেকটা তফাতে পড়েছে, যা দেখে বোঝা যায় যে সেই প্রাণীর চেহারা কত বড় হতে পারে। পায়ের ছাপগুলি খুব গভীরও। একেবারে বরফের চাদরে বসে গিয়েছে। 

শুধু তাই নয়, ভারতীয়ে সেনা সেই টুইটে দাবি করে, মাকালু-বরুণ জাতীয় পার্কের এখানে আগেও ইয়েতির দেখা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই পায়ের ছাপ যে কোনও কাল্পনিক প্রাণীর নয়, তা নিশ্চিত করেছে খোদ স্থানীয় মানুষ। 

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সেনা কীভাবে একটি কাল্পনিক জীবকে নিয়ে এত নিশ্চিত হয়ে পোস্ট দিল,তা নিয়ে  প্রশ্ন উঠেছিল। ঠিক তার দু’দিনের মাথায়ই জানা হয়ে  গেল এ আসলে ভালুকের পায়ের ছাপ। 

সাধারণত পর্বতারোহীরা এবং বিজ্ঞানীরা এর আগে ইয়েতি নামক এই প্রাণীর অস্তিত্ব বার বার অস্বীকার করেছে। তাঁরা দাবি করেছেন ওরকম নির্জন পাহাড়ে এক ধরনের ভয় কাজ করে, যার ফলে কল্পনায় ঘুরে বেড়ায় এই ধরনের চিন্তা।