সংক্ষিপ্ত

আজ আংশিক সূর্যগ্রহণ।সূর্যগ্রহণের কিছু ব্রাহ্মমুহূর্ত পুরোপুরি ক্যামেরা বন্দি করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে লাদাখের হ্যানলের  ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের একটি দল।

আজ আংশিক সূর্যগ্রহণ।বাঙালি পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ সূর্যগ্রহণ লাগছে ২.২৯ মিনিটে এবং ছাড়ছে ৬.৩২ এ। কিন্তু সূর্যগ্রহণ লাগা ও ছাড়ার সময়  নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন সকাল ১১.৩০ টা তেই লাগছে সূর্যগ্রহণ আবার কেউ কেউ বলছেন বিকেল ৪ তে ২০ তে।  কিন্তু সূর্যগ্রহণের এই ব্রাহ্মমুহূর্ত পুরোপুরি ক্যামেরা বন্দি করার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে লাদাখের হ্যানলের  ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের একটি দল। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, বেঙ্গালুরু-এর নেতৃত্বে  হ্যানলের মানমন্দিরের ওই দল ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ক্যামেরা সেটিং এর কাজ। তবে সূর্যগ্রহনকে ফ্রেমবন্দি করার সময় যে কাজটি সবথেকে  বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বলে তাদের ধারণা, তা  হলো সূর্যকে পুরোপুরি ডিস্কে ক্যাপচার করা।  সূর্যগ্রহণ যখন তার সবথেকে বেশি তীব্রতায় পৌঁছয় সেই মুহূর্তকে সঠিকভাবে ফ্রেমবন্দি করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।  কিন্তু সে কাজে তারা সফল হবেন কিনা তা জানা যাবে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই। 

আংশিক সূর্যগ্রহণ তখনই  ঘটে যখন চাঁদ , পৃথিবী , সূর্য সব এক লাইনে থাকে। এদের মহাজাগতিক  অবস্থান তখন এমনই  হয় যে চাঁদ সূর্যের আলোকে আংশিকভাবে আটকে দিতে সক্ষম হয়।  তখন পৃথিবীর কিছু বিশেষ বিশেষ স্থান থেকে আর সূর্যকে দেখা যায় না। এই ঘটনাকেই  বলে সূর্যগ্রহণ। 

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স টিম কাজাখস্তান , রাশিয়া , লেহ এবং হ্যানেল - এই চারটি জায়গা থেকে সূর্যগ্রহণের লাইভ স্ট্রিম করবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই লাদাখে পৌঁছে গেছে দুটি দল। একটি দল লেহ প্রাসাদের উপর থেকে অন্য দলটি হ্যানেল থেকে এই মহাজাগতিক ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করবে। 

খুব শীঘ্রই  ডার্ক স্কাই রিসার্ভ চালু হতে  চলেছে ভারতে । প্রধানত হ্যানেলের  স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতেই ভারত সরকার থেকে  ওখানে চালু করা হবে অ্যাস্ট্রো ট্যুরিজম। তার পরীক্ষামূলক মহড়াই এখন চলছে সেখানে। 

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এর মতে মঙ্গলবার  আংশিক সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ৪.২০ তে  এবং ভারতের বিভিন্ন অংশে এটি দেখা যাবে প্রায় ৫.২০ পর্যন্ত। 
সূর্যাস্তের  এক ঘণ্টা আগে ভারতের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এটি দৃশ্যমান হবে। চরম পশ্চিমের শহরগুলিতে, যেমন পোরবন্দর, গান্ধীনগর, মুম্বাই, সিলভাসা, সুরাট এবং পানাজি থেকে এই  গ্রহন এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দেখা যাবে। 

যেহেতু হ্যানলে এবং এমনকি লেহতেও  ফোরজি  নেটওয়ার্ক এখনো পৌঁছয়নি সেইভাবে তাই  লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় ব্যান্ডউইথের এর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করেছিল হ্যানেল মানমন্দিরের ওই দল । কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে তারা ব্যাক আপ পরিকল্পনারও বন্দোবস্ত করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। ওর একটি সমস্যা হলো বাতাসের উচ্চ গতিবেগ ও সূর্যের ইউভি কিরণ। সেই সমস্যার জন্যেও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। চাংথাং মালভূমিতে সূর্য প্রত্যাশিত সময়ের আগে অস্ত যায়।সূর্যাস্তের সময়  তাপমাত্রা থাকে ৩  থেকে -১১  ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এটাও অন্যতম আর একটি সমস্যা বলে জানিয়েছে দলটি। 

হানলেতে, ভারতীয় জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান ডরজে আংচুক সূর্যগ্রহণটি ধরার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। চারটি টেলিস্কোপের একটি সেট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৫০০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। ডরজে বলেন  "আমরা আংশিক সূর্যগ্রহণ লাইভ স্ট্রিমিং করব এবং স্কুলের ছেলেমেয়েরাও মানমন্দির থেকে লাইভ দেখতে আসছে,"।
 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন ভিসিকে পদত্যাগের আদেশ কেরালা রাজ্যপালের , শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনীতি কেরালায়

সেদিনের সেই সৈনিক স্কুলের বালক আজ কারগিলের মেজর , ২২ বছর পর মোদীজিকে আবার দেখে আবেগে ভাসলো জওয়ান