সংক্ষিপ্ত
১৮ ফুট লম্বা ঢেঁড়শ! মই ছাড়া পাওয়া যায় না নাগাল, পৃথিবী চমকে দিয়ে ভোপালের এই ঘটনা
১৮ ফুট উঁচু ঢেঁড়শ গাছ দেখেছেন কখনও? ঢেঁড়শ গাছ তো সাধারণত এলতানো প্রকৃতির হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয়। কিন্তু একেবারে ১৮ ফুট লম্বা ঢেঁড়শের কাহিনি জানলে তাজ্জব বনে যাবেন।
ভোপালে সিএসআইআর-এর বিজ্ঞানী সন্দীপ সিংহাই তাঁর বাড়ির বাগানে একটি ১৮ ফুট উঁচু ঢেঁড়শ গাছ লাগিয়েছিলেন আর এখন সেখান থেকে ঢেঁড়স তুলতে মই ব্যবহার করতে হয়। সত্যিই আশ্চর্য হতে হয় এই ঘটনায়।
সন্দীপ সিংহাই এই ঢেঁড়শ গাছের জন্য ইতিমধ্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম লেখানোর চেষ্টা করছেন। গিনেস বুকে নথিভুক্ত সবচেয়ে উঁচু ঢেঁড়স গাছের দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চি।
প্রকৃতপক্ষে, মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে অবস্থিত সিএসআইআর-এএমপিআরআই-এর সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট ডঃ সন্দীপ সিঙ্ঘাই বাড়ির বাগানে একসাথে ঢেঁড়সের বেশ কয়েকটি বীজ রোপণ করেন, এর মধ্যে একটি গাছ ১৮ ফুট লম্বা হয় এবং অন্য দুটি গাছ ১০ ফুট লম্বা হয়। বীজ বপনের সময় তিনি জানতেন না ঢেঁড়স গাছ যে এত লম্বা হবে। এখন তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা করছেন কারণ এই ঢেঁড়শ গাছ গিনেস বুকে রেকর্ড করা গাছ ১৬ ফুট ৪ ইঞ্চির চেয়েও বড়। এর জন্য তিনি দীর্ঘতম ঢেঁড়শ গাছ বিভাগেও আবেদন করেছেন।
১৮ ফুট উঁচু এই ঢেঁড়স গাছে সবজি জন্মলেও ঢেঁড়শ তোলার জন্য মই ব্যবহার করতে হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী সন্দীপ সিংহাই ও তাঁর স্ত্রী শিল্পা। সাধারণত ঢেঁড়স গাছ প্রায় ১ মিটার লম্বা হয়, কিন্তু গুল্ম গাছ ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, অন্যদিকে বিজ্ঞানী সন্দীপ সিংহাই ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়েছেন, যা তাকে অবাক করে দিয়েছে।