জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য গুফকার জোটের  একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ বিজেপি  উপত্যকার বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা অমিত শাহর 

জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলের ভোটের ফল প্রকাশকে যুযুধান দুই পক্ষই নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে। ১১১টি আসনে জয় পেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপির প্রতিপক্ষা ফারুক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন গুফকার জোট। এই জোটের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ১১১। অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বৃহত্তর দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ৭৫। অন্যদিকে কংগ্রেস ২৬টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। 

Scroll to load tweet…

জম্মু ও কাশ্মীরের দলের জয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন দায়িত্বে থাকা দুই বিজেপি নেতা শাহনাওয়াজ হুসেন ও অনুরাগ ঠাকুর। অন্যদিকে বিজেপির এই সাফল্যের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। বিজেপির বক্তব্য ছিল বিজেপিকে হারাতেই জম্মু ও কাশ্মীরে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছিল ফারুক আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির দল। তাসত্ত্বেও তারা একতরফাভাবে জয় হাসিল করতে পারেনি। উপত্যকার মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছেন বলেও দাবি করেন বিজেপির দুই নেতা। গুফকার জোট গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলেও দাবি করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। অনুরাগ ঠাকুর বলেন নির্দল প্রার্থীরাও পিডিপি ও কংগ্রেসের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপরেই উপত্যকার মানুষ আস্থা রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে ন্যাশালান কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওরম আব্দুল্লাহ ভোট ফল স্পষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করেন। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেন, কাশ্মীরে তিনটি আসনে জয়ের জন্য বিজেপিকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে বলেন, কী হবে জম্মুর। কারণ সেখানে গুফকার জোট জিতেছে ৩৫টি আসনে। তিনি আরও বলেন বিজেপি দীর্ঘ দিন ধরেই ন্যাশানাল কনফারেন্স ও পিডিপিকে কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দলবলে কটাক্ষ করত। এতদিনে বিজেপি তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। তিনি বলেন তাঁরা মটেও কাশ্মীর ভিত্তিক দল নয়। তিনি আরও বলেন তাঁরা অনেক কম জোটবদ্ধ হওয়ার কারণে তাঁরা অনেক কম আশনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তাই বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে। 

Scroll to load tweet…

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ হওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম নির্বাচন। ২৫ দিন ধরে আট দফায় ২৮৮টি আসন ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেদিয়েই ভোট গ্রহণের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। এই আন্দোলনে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কাশ্মীরের প্রথম সারির যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি একত্রিত হয়েছিল। তাঁদের মূল অ্যাজেন্ডাই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।