PM Modi Emergency Meeting: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিচারপতি বর্মা মামলা এবং সরকারের সাথে সংঘাতের জেরেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
PM Modi Emergency Meeting : দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় গতকাল রাতে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে আকস্মিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র অবিলম্বে গ্রহণ করেন। তবে, এই পদত্যাগের পেছনের ঘটনা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবং এতে রাজনৈতিক তৎপরতার এক বড় খেলা চলছে বলে স্পষ্ট হচ্ছে। ধনখড়ের মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই বছর বাকি থাকতেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিচারপতি বর্মা মামলা ও সরকারের আতঙ্ক
ধনখড় রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে সোমবার হঠাৎ করে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার ঘোষণা দেন। বিশেষ করে, এই বিষয়ে সরকারের কাছে কোনও পূর্ব তথ্য ছিল না। ফলে সরকার সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল এবং এই ঘোষণার পর ক্ষমতাসীনদের বড় ধাক্কা লাগে। এই প্রস্তাব নিয়ে আগেই লোকসভার জন্য কৌশল ঠিক করা হয়েছিল। বিরোধীদের আস্থায় নিয়ে তাদের কাছ থেকে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভার সভাপতি প্রস্তাব ঘোষণা করে সব হিসেবই নষ্ট করে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক এবং ‘১০-১০ জনের সাংসদ দল’ পরিকল্পনা
ঘটনাক্রম জটিল হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাজ্যসভার সাংসদদের চিফ হুইপের মাধ্যমে জরুরিভাবে ডেকে পাঠানো হয়। তাদের ‘১০-১০ জনের দলে’ ভাগ করে বৈঠকস্থলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠকে সাংসদদের কাছ থেকে একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। মিত্র দলের সাংসদদেরও ডেকে তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এই বৈঠকের সময় সাংসদদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় যে, “এই বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা বলবেন না এবং আগামী চার দিন দিল্লি ছাড়বেন না।”
সরকারের অসন্তোষের কারণ এবং পদত্যাগের দিকে যাত্রা
সাংসদদের মতামত ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করার পর, সরকার ধনখড়ের সঙ্গে কথা বলে। এরপরেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে। রাতে মন্ত্রীদের আবার বৈঠক হয়। সেখানে ধনখড় গত কয়েক মাসে কোন কোন সময় সীমা লঙ্ঘন করেছেন, সরকারের কীভাবে অসুবিধা করেছেন, এবং নেতাদের কীভাবে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছেন, তার বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। ঠিক তখনই ধনখড় নিজেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং সব জল্পনার অবসান ঘটে।
ধনখড়ের পদত্যাগ শুধু "স্বাস্থ্যগত কারণে" নয়, এর পেছনে রয়েছে নানা রাজনৈতিক কারণ এবং সরকারের অসহায়তা। তাঁর কার্যপদ্ধতির ফলে ক্ষমতাসীনদের যে অসুবিধা হচ্ছিল, তার অবসান তাঁর স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণের মাধ্যমেই হল।


