সংক্ষিপ্ত

  • ঘেরাও হলেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
  • সোমবার কয়েকশো শিক্ষার্থী দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে তাঁকে ঘেরাও করেন
  • উপাচার্য জানান দিল্লি পুলিশ এফআইআর নিচ্ছে না
  • কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ঘটনার রিপোর্ট জমা পড়েছে

 

এবার ঘেরাও জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার। সোমবার কয়েকশো শিক্ষার্থী ঘেরাও করলেন তাঁর কার্যালয়। তাঁদের প্রশ্ন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে? শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে চুপ করে দাঁড়ায়ে থাকেন উপাচার্য ও অন্য়ান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি জানান, ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ যেভাবে লাঠি চালিয়েছিল তাতে দিল্লি পুলিশ-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে হবে।

সংবাদমাধ্যমের সামনে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে দৃশ্যতই খানিক অস্বস্তিতে পড়েন উপাচার্য নাজমা আখতার। এই অবস্থায় তিনি বল ঠেললেন কেন্দ্রীয় সরকারের কোর্টে। তিনি বলেন, দিল্লি পুলিশ তাঁদের কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করছে না। পুলিশ যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল, সেই কথা এদিন আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ফের গত ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে আদালতের দ্বারস্থ হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জামিয়া মিলিয়ার ভিসি আরও জানান, তিনি কখনই হস্টেল খালি করার কোনও আদেশ দেননি। তাঁর নাম করে ভূয়ো বার্তা রটানো হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুরক্ষা আরও বাড়িয়েছে বলেও ছাত্রছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন তিনি।

উপাচার্যের আশ্বাসে আস্বস্ত হয়ে ঘেরাও তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, হস্টেল খালি করার নির্দেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আরও দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষার নতুন সূচি তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।